রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণে বাধা

এক বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস

নাঙ্গলকোট (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
  ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
এক বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে বসবাস

কুমিলস্নার নাঙ্গলকোটে ভাই-ভাইয়ের মধ্যে পৈতৃক সম্পত্তির দখল নিয়ে নির্মাণাধীন ঘরের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে গত এক বছর ধরে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। উপজেলা মৌকরা ইউপির মোড়েশ্বর গ্রামের কাজী বাড়িতে ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোড়েশ্বর গ্রামের আলী আশ্রাফ জীবদ্দশায় দুই স্ত্রী নিয়ে বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রীর ৪ ছেলে ৩ মেয়ে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ৩ ছেলে রয়েছে। ১৯৮৬ সালে ১৯ শতক জমি রেখে মারা যান তিনি। পরে স্থানীয় সালিশদাররা হিস্যানুযায়ী প্রত্যেকে ২ শতক ২৩ পয়েন্ট জমি জায়গা ভাগ করে বণ্টননামা করে দেন। বণ্টননামা অনুযায়ী প্রত্যেকে দখলে থাকেন। ২০২২ সালে ডিসেম্বরের দিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম ছেলে ইউসুফ তার দখলীয় জায়গায় টিনশেডের ঘর ভেঙে নতুন বিল্ডিং ঘর করার উদ্দেশে নিচ থেকে সাব বেইজ ঢালাই দিয়ে ঘরের পিলার করার জন্য রডে খাঁচা বাঁধেন। হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে নূর হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও অন্য তিন সৎভাই বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। সেই সঙ্গে আদালতে একটি মামলা করেন। গত এক বছর ধরে রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র শীতের মধ্যে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ইউছুফ। পাশাপাশি ইট, বালু ও সিমেন্টসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে নুর হোসেনের ছেলে রবিন বলেন, 'এ জায়গাটি আমাদের। আমাদের নামে দলিলপত্র সবকিছু রয়েছে। আমার কাকা জোরপূর্বক ঘর করছে। তাই আদালত মামলা দিয়েছি। আদালতের রায় যা হবে আমরা তাই মেনে নেব।'

এ বিষয় সাবেক ইউপি সদস্য জামাল হোসেন বলেন, 'আমরা বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠক করে সব ভাই-বোনের জায়গা ভাগ-বাটোয়ারা করে দেই। এ জায়গায় ইউছুফের ঘর ছিল। পুরনো ঘর ভেঙে নতুন ঘর করতে গেলে একটি দলিল সৃষ্টি করে নূর হোসেনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম আদালতে মামলা করেন। এতে ইউছুফ ছেলেমেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।'

এ বিষয়ে বুধবার নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ইউছুফের সৎভাইয়ের স্ত্রী রোকেয়া বেগম আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা করেন। সে অনুযায়ী পুলিশ গিয়ে মামলার তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আদালতে রিপোর্ট পাঠানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে