৩১ বছরেও নতুন কমিটি হয়নি নিকলী যুবলীগের

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

হাওড়াঞ্চল প্রতিনিধি
দীর্ঘ তিনদশকেরও বেশি সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে আছে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটি। তিনদশক আগে গঠিত যুবলীগের কমিটি কাগজে-কলমে আছে, রাজনীতির মাঠে কোনো কার্যক্রম নেই। এতে যুবলীগের নতুন নেতৃত্বের যেমন বিকাশ ঘটছে না, তেমনি পদপ্রত্যাশী নেতাদের নতুন কমিটির জন্য অপেক্ষার প্রহরও আর শেষ হচ্ছে না। পদের আশায় অনেকেই যৌবন থেকে বার্ধক্যে পা দিয়েছেন। তিনদশকের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও নিকলীতে যুবলীগের নতুন কমিটি গঠিত না হওয়ায় যুবলীগ দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে গ্রম্নপ। দলীয় কর্মসূচি পালন করা হয় পৃথকভাবে। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই উপজেলায় যুবলীগের এমন নাজুক অবস্থায় চরম ক্ষুব্ধ ও হতাশ খোদ সরকার দলের কর্মিসমর্থকরা। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৯৯৪ সালে কারার সাইফুল ইসলামকে সভাপতি এবং ইসরাফিল মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা যুবলীগের কমিটি গঠিত হয়েছিল। আর ওই কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এখন উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মৃতু্যবরণ করেছেন কয়েকজন। কমিটির অনেকে আবার রাজনীতি থেকে সরে গিয়েছেন। বর্তমানে কাগজে-কলমে যারা নেতৃত্বে আছেন তারাও এখন আর নিজেদের যুবলীগ বলে পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না। তারা চাচ্ছেন সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠিত হোক এবং নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল হক লিটন জানান, 'গত বছর যুবলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা জাতীয় পরিচয়পত্র ও সর্বশেষ শিক্ষা সনদের ফটোকপিসহ জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো কমিটি গঠিত হয়নি।' তিনি আরও বলেন, 'ছাত্রলীগ থেকে ওঠে আসা ত্যাগী, মেধাবী ও সাহসীদের নিয়ে যুবলীগের নতুন কমিটি সাজানো হোক। এতে করে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে। তাদের নেতৃত্বে নিকলী উপজেলা যুবলীগ আরও শক্তিশালী হবে।' আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি। এই বিষয়ে নিকলী উপজেলার যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বর্তমান আওয়ামী লীগের সভাপতি কারার সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে ৩১ বছর ধরে যুবলীগের কমিটি না থাকার কথা স্বীকার করেন।