কর্মস্থলে না থাকা চিকিৎসক-নার্সদের বেতন বন্ধের নির্দেশ

কর্মস্থল বাদ দিয়ে ডেপুটেশন নিয়ে অন্যস্থানে অবস্থান করা ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম সুজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি বলেন, 'সীমান্তের অবহেলিত মানুষের চিকিৎসা সু-নিশ্চিত করতে সরকার চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে পদায়ন করেছে। এখান থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করছেন তারা। অথচ ডেপুটেশন নিয়ে অবস্থান করছেন অন্যস্থানে। এটা আমার এলাকার ভোটারদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি চাই, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে। এই এলাকার মানুষ সেটির দায়িত্ব আমার কাধে দিয়েছে।' হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ৩ জন চিকিৎসক, ১১ জন নার্স, ২ জন মিডওয়াইফ ও ৭ জন কর্মচারী ডেপুটেশন নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এসব কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান করা হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স থেকে। ডেপুটেশন নেওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বিঘ্ন তৈরি হচ্ছে। রোগীরা সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। এর ফলে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হচ্ছে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, 'ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এমপি স্যার বেতন-ভাতা বন্ধ রাখতে বলেছেন। আমরা বেতন ভাতা বন্ধ রাখব। পাশাপাশি আমাদের এখানে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য সার্জারি, গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া কনসালটেন্ট নেই। আলট্রাসনোগ্রামসহ কয়েকটি মেশিন প্রয়োজন। সেগুলো ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি তুললে তিনি দ্রম্নত ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।' সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ জানান, 'বেতন বন্ধের বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি এমপি স্যার। তবে চিকিৎসক-নার্সেরা ডেপুটেশনে থাকলেও তারা কিন্তু দায়িত্ব পালন করছে। এমপি স্যার চাইলে তাদের ডেপুটেশন বাতিল করা হবে।'