দক্ষিণ চট্টগ্রামের একমাত্র প্রথম শ্রেণির পটিয়া পৌরসভার আর্বজনা ফেলার নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা ক্রয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় সরকার পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
গত ৩১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়টির উপসচিব আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, 'উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রস্থ স্মারকের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ডাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র গ্রহণের শর্তে নিম্নোক্ত তফসিলভুক্ত সুচক্রদন্ডী এলাকায় ৮১ শতক ভূমি ক্রয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন নির্দেশক্রমে প্রদান করা হলো।'
এদিকে, প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জায়গা ক্রয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ায় খুশি পৌরবাসীরা। তারা জানান, 'এত বছর পটিয়া পৌরসভার নির্ধারিত কোনো ডাম্পিং স্টেশন ছিল না। বিক্ষিপ্তভাবে সড়ক মহাসড়কের পাশে পৌরবাসীর শত শত টন বর্জ্য ফেলে রাখা হতো। এতে পৌরসভার বাসিন্দারাসহ পটিয়া চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন আর মানুষের মাঝে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত।
\হপৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও শিক্ষার্থীরা জানায়, 'সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে আমরা ওই ময়লার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় নাকে কাপড় পেঁচিয়ে কোনোরকমে এলাকা পার হতে হয় আমাদের। ডাম্পিং স্টেশন করা হলে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাগব হবে।'
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, বর্জ্য-আবর্জনাযুক্ত পানি ব্যবহারে মানুষের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য থেকেও একই রকম ঝুঁকি থাকে।
\হপৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল বলেন, 'পৌর শহরের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে ডাম্পিং স্টেশনের অভাব দীর্ঘ দিনের। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই একটা ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের জায়গায় জন্য কাজ করেছি। এবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে জায়গা ক্রয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।