পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে সেচের ট্রান্সমিটার চুরি হুমকিতে ২শ' বিঘা জমির চাষ
প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে রাতের আঁধারে সেচ পাম্পের ট্রান্সমিটার চুরি হওয়ায় সেচের অভাবে হুমকিতে পড়েছে ২শ' বিঘা জমির বোরো ধান চাষ। দু'দিনের মধ্যে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে না পারলে মারা যাবে সদ্য রোপিত ধানের চারা। ফলে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের গড়েয়া পাথারে দু'টি ট্রান্সমিটারের ফেলে যাওয়া পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন ভুক্তভোগিরা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ গড়েয়া পাথারের জমিতে হালচাষ সম্পন্ন করেছেন কৃষকরা। চারা রোপণের জন্য এখন প্রয়োজন পানি। জমিতে পানি নিতে না পারায় দিকবিদিক ছোটাছুটি করছেন কৃষকরা। কেউবা জমিতে বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন।
ট্রান্সমিটার চুরি যাওয়া সেচপাম্প মালিক ওই ইউনিয়নের পার্বতীপুর গ্রামের আব্দুস সোবহান জানান, রাতে জমিতে পানি সেচ দিয়ে মেশিনঘরেই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মেশিন চালু না হওয়ায় ভাবেন বিদু্যৎ নাই। পরবর্তীতে ফাঁকা জমিতে পরপর দু'টি ট্রান্সমিটারের পরিত্যক্ত অংশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় কৃষকরা।
ট্রান্সমিটার চুরি যাওয়া অপর সেচপাম্প মালিক গড়েয়া গ্রামের কাজেম উদ্দীন জানান, সেচপাম্প দু'টি দিয়ে ২ শতাধিক জমিতে পানি সেচ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে ৫০ বিঘা জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। ট্রান্সমিটার পুনঃস্থাপন না করা পর্যন্ত চাষ বন্ধ থাকবে। এছাড়া দু'দিনের মধ্যে পানি সরবরাহ করতে না পারলে রোপিত চারাগুলো মারা যাবে।
এ ব্যাপারে মহদীপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল বলেন, বোরো চাষাবাদ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সে লক্ষ্যে পলস্নী বিদু্যৎ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রম্নত পানির সেচ চালুর চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, কৃষকদের জমিতে পানি সেচ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।