গৌরীপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা

ময়মনসিংহের গৌরীপুর ৬ নম্বর বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আল মুক্তাদির শাহিনের প্রতি অনাস্থা দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ১২ জন ইউপি সদস্য। গত বুধবার দুপুরে এই অনাস্থা দেন তারা। বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ইউপি সদস্যরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান আল মুক্তাদির বলেন, এসব মিথ্যা ও তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। অভিযোগে ইউপি সদস্যরা উলেস্নখ করেন, ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবন টেন্ডার ছাড়া বিক্রি, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন না করা, কর্মসৃজন প্রকল্পের ১৮০ জন শ্রমিককে টাকা না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ, ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ভবনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নিজে আত্মসাৎ, সভার কার্যবিবরণীতে অগ্রীম স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছামতো প্রকল্প কমিটি করে অর্থ আত্মসাৎ, সাবরেজিস্ট্রার অফিসের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ, আদায়কৃত ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্সের টাকা আত্মসাৎ, ইউপি সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ এবং মহিলা কোটায় প্রাপ্ত প্রকল্প সঠিকভাবে প্রদান না করা। এসব কারণে তারা চেয়ারম্যানের প্রতি অনাস্থা দিয়েছেন। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক দাবি করে বোকাইনগর ইউপি চেয়ারম্যান আল মুক্তাদির শাহিন সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রতিটি প্রকল্প সদস্যদের সঙ্গে মিটিং করে নিয়মানুযায়ী গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। অন্যায় সুবিধা না পেয়ে তারা এখন আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।' গৌরীপুর ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদুল করিম জানান, 'অভিযোগ পেয়েছি, তবে নিয়মানুযায়ী অভিযোগের সঙ্গে প্রমাণ দাখিল করতে হয়, যা সদস্যরা দেননি। প্রমাণ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' অভিযোগকারী সদস্যরা হলেন- এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য চুন্নু মিয়া, দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসহাক মিয়া, তিন নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বদর উদ্দিন, চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য গাজিবর রহমান, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামাল হোসেন, ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহিম, সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সেলিম, আট নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক মিয়া, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শাহাব উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নুরুন্নাহার, শিরিনা আক্তার ও কুলছুম বেগম।