শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

কুতুবদিয়ায় দখল ও ভরাটে হারিয়ে যাচ্ছে পাইলটকাটা খালের অস্তিত্ব

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কুতুবদিয়ায় দখল ও ভরাটে হারিয়ে যাচ্ছে পাইলটকাটা খালের অস্তিত্ব

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার প্রাচীনতম এবং দ্বীপের পাঁচ ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাইলটকাটা খালটি দখল ভরাটের ফলে নাব্য হারাতে বসেছে। সারাদেশ নদী-খাল খনন এবং নাব্য ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও পাইলটকাটা খালের ব্যাপারে কোনো ধরনের দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই।

দ্বীপের অত্যন্ত প্রবাহমান এবং গতিশীল পাইলটকাটা খালে এক সময় ছোট-বড় অনেক নৌযান চলাচল করত। খালে জেলেরা মাছ শিকার করতেন। প্রান্তিক চাষিরা খালের পানি সেচ কাজে লাগাতেন। দ্বীপের বৃষ্টির পানি এই খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে পড়ে। তখন লোকজনের জীবন-জীবিকায়নের অন্যতম মাধ্যম ছিল পাইলটকাটা খালটি। বর্তমানে এসব কিছুই যেন এখন সোনালি অতীত! কেননা, দিন দিন দখল ও ভরাটে সরু হয়ে নব্যহীন হয়ে পড়েছে ঐতিহ্যবাহী এই খালটি।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রবাহমান পাইলটকাটা খালটি দখল ও ভরাটের ফলে সংকুচিত এবং কোনঠাঁসা হয়ে কোনো রকমে নিজ অস্তিত্ব রক্ষায় যুদ্ধ করে যাচ্ছে। খালটি বড়ঘোপ ইউনিয়নের আজম কলোনি এলকার পূর্ব পার্শ্বস্থ কুতুবদিয়া চ্যানেল থেকে সৃষ্টি হয়ে পর্যায়ক্রমে কৈয়ারবিল, লেমশীখালী, দক্ষিণ ধুরুং এবং উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। খালের আশপাশের বাসিন্দারা এখনো এই খালের পানি সেচ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। তবে প্রতিনিয়ত খালটি দখল ও ভরাটের ফলে নাব্যহীন হয়ে পড়েছে।

এ বিষয়ে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর জানান, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের আওতাধীন পাইলটকাটা খালটির প্রশস্ত ছিল ৫২০ ফুট, দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। যা বর্তমানে প্রশস্ত একশ' ফুটও নেই এবং দৈর্ঘ্যও কমে আসছে। এভাবে দখল ও ভরাটের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে খালটি।

একইভাবে কৈয়ারবিল এলাকা থেকে খালটি শেষ হয়ে খালের পূর্ব পাশে লেমশীখালী ও পশ্চিম পাশে দক্ষিণ ধুরুংয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের উত্তর পাশে গিয়ে শেষ হয়। বর্তমানে খালের দুই পাশের অববাহিকা দখল করে অনেকে লবণ চাষাবাদ, বাঁধ দিয়ে চিংড়িঘের ও খালের তীরে বসতঘর তৈরি করে এবং বর্জ্য ফেলে খালটি একেবারে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছে।

এদিকে, অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে খাল দখল করে ভরাট করার বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও কোনো সাড়া পাননি বলে দাবি করেন কৈয়ারবিলের বাসিন্দা প্রান্তিক চাষি আবু শামা।

এ বিষয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি অবগত না। খবর নেওয়া হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে