বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

যশোরে সড়কে ময়লা ফেলে হরিজনদের বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
যশোরে বিদু্যৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে হরিজন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ -যাযাদি
বিদু্যৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে যশোরে হরিজন সম্প্রদায়। বুধবার রাতে শহরের চিত্রা মোড়স্থ পুরাতন পৌরসভা হরিজন কলোনির বাসিন্দারা এই বিক্ষোভ করে। এ সময় কলোনির শতাধিক হরিজন ও তাদের পরিবারের সদস্যরা পৌর হেরিটেজ মার্কেটের সামনের সড়কের ওপরে ময়লা ফেলে ও ময়লা পরিবহণের ভ্যান দাঁড় করে রেখে বিক্ষোভ করেন। ব্যস্ততম সড়কে অবরোধ করায় দুইপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পরে বিদু্যৎ বিভাগ কলোনিতে বিদু্যৎ সংযোগ চালু করে দিলে পৌনে এক ঘণ্টা চলা এই অবরোধ-বিক্ষোভ তারা তুলে নেয়। জানা গেছে, যশোরে হরিজনদের কাঁধে এখন পাঁচ কোটি টাকার বকেয়া বিলের বোঝা। যশোর পৌর কর্মকর্তারা বলছেন এখন থেকে হরিজনদের বিদু্যৎ বিলের দায় আর নেবে না পৌরসভা। আবার ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদু্যৎ বিতরণ বিভাগ তাদের বকেয়া প্রায় ৫ কোটি টাকার বিদু্যৎ বিল পরিশোধের জন্য জোর তাগিদ দিচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হরিজন পলস্নীতে গিয়ে বিদু্যৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। যশোর পৌরসভা হরিজন সমিতির সভাপতি মতি লাল বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে তাদের বাপ-দাদারা বসবাস করে আসছে। তবে কখনো তাদের বিদু্যৎ বিল দিতে হয়নি। প্রিপেইড মিটার দেওয়া মানে তাদের বিদু্যৎ বিল আগে দিয়ে ব্যবহার করতে হবে। পৌরসভা তাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা করে বেতন দেয়। তা দিয়ে কি হয়। যশোর ওজোপাডিকোর অভিযানিক অফিসার সহকারী প্রকৌশলী শামসুজ্জোহা কিরণ জানিয়েছেন, পৌরসভা দিনের পর দিন বিল পরিশোধের নামে তালবাহানা করে চলেছে। বিশেষ করে হরিজন পলস্নীর তিনটি মিটারের ব্যাপারে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সময় নিলেও কার্যকর করছে না। আর হরিজনদের মুখোমুখি করছে বিদু্যৎ বিভাগকে। এ ব্যাপারে যশোর পৌরসভার প্রকৌশলী কামাল আহমেদ বলেন, এখন থেকে হরিজন পলস্নীর বিদু্যৎ বিলের দায় পৌরসভা নেবে না। তারা ব্যয় করলে তারা বিল দেবে। সেখানে নতুন করে নামে নামে প্রিপেইড মিটার লাগিয়ে দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদু্যৎ বিভাগকে।