তাড়াশে ট্রিপল মার্ডার :ভাগ্নে রাজীবের দায় স্বীকার
প্রকাশ | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সিরাজগঞ্জ ও তারাশ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহলস্নার নিজ বাড়িতে খুন হওয়া কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার(৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষিকে (১৫) কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার ঘটনায় জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক দায় স্বীকার করেছেন।
বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে নিহত স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলা করেছেন। এরই সূত্র ধরে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি ও তাড়াশ থানা পুলিশের একটি চৌকসদল ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে আটক করে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক উলস্নাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথের ছেলে।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাজিব ভৌমিক জানান, নিহত মামা বিকাশ চন্দ্র সাহা ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের সঙ্গে মাছের খাদ্যের ব্যবসা করতেন। রাজিবের ব্যবসার জন্য মামা বিকাশ সরকারের কাছে ২০ লাখ টাকা নেন। বিকাশ সরকার মূলধনসহ টাকা ফেরত চাইলে ভাগ্নের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়। এরই জের ধরে গত ২৭ জানুয়ারি রাজিব মামার বাসায় আসে। মামা বাসায় না থাকায় মামীকে কফি আনার জন্য বাইরে পাঠায়। সেই সুযোগে মামাতো বোন পারমিতা সরকার তুষিকে হত্যা করে। মামি কফি নিয়ে বাসায় আসলে স্বর্ণা সরকারকে রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। পরে মামাকে মোবাইল ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলে। মামা বিকাশ সরকার বাসায় আসলে তাকেও একই কায়দায় হত্যা করে। লাশ তিনটি বেড রুমে রেখে দরজায় তালা দিয়ে উলস্নাপাড়ায় চলে যায়।