শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে 'সেকমিড'

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজব প্রতিরোধে কাজ করছে 'সেকমিড'

গুজব প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছে সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সেকমিড) নামে একটি এনজিও। এক বছরের প্রকল্পে এনজিওটি কীভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরনের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে কাজ করবে।

এনজিওটির উদ্যোগে গত সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের বিস্তারবিষয়ক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বাংলাদেশের তিন জেলায় পরিচালিত গবেষণায় তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় গুজব নিয়ে কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়।

দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ২০২৩ সালের ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করে এনজিও সেকমিড। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুজবের ওপর গবেষণা করবে। ইতোমধ্যেই গুজবের নানা দিক নিয়ে তারা এখানকার ৮৬ জনের সঙ্গে কথা বলেছে। ছয়টি গ্রম্নপ স্টাডি করেছে। তাদের এই প্রাথমিক গবেষণায় দ্রম্নত গুজব ছড়ানো বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোশারফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাকমিডের প্রোগ্রাম কনসালট্যান্ট ড. শেখ শফিউল ইসলাম, সদর থানার ওসি আসলাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোলস্না, জেলা তথ্য কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন সাকমিডের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দ কামরুল হাসান, সাংবাদিক আবদুন নূর, পিযূষ কান্তি আচার্য, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, মো. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, সাকমিডের গবেষণায় উঠে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে ৮৬ জনের ওপর জরিপ চালানো হয় তাদের মধ্যে শতকরা ৫১ ভাগ জানেন কীভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়। অ্যাকাউন্ট খোলা বিষয়ে বাকি ৪৯ ভাগের কোনো ধারণা নেই। ১৩ ভাগ মানুষ জানে না কীভাবে ফেসবুক চালাতে হয়। ৭৯ ভাগ মানুষ ফেসবুকে পাওয়া তথ্য বিশ্বাস করে। অনলাইনের সংবাদকে বিশ্বাস করে ৩৭ ভাগ মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে