অসংখ্য নদী-খাল বিস্তৃত বরিশাল জেলার কৃষি নির্ভরশীল একটি অন্যতম উপজেলা উজিরপুর। চলতি মৌসুমে কৃষি অফিসের তথ্য মতে তের হাজার পাঁচশ' হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষমাত্রা থাকলেও নালা-খাল শুকিয়ে গেলে এবং বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দেওয়ার কারণে পানির অভাবে বোরো ধানের রোপণ করতে পারছে না অধিকাংশ প্রান্তিক কৃষক। গত এক মাস আগে থেকে বোরো ধানের রোপণ শুরু হলেও এখনো অধিকাংশ জমিতে পানির অভাবে রোপণ করতে পারেননি কৃষক। যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় খালে দেওয়া বাঁধ কেটে পানির ব্যাবস্থা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন অভিযান পরিচালনা করেন।
চলতি মৌসুমে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে উপজেলার ছয় হাজার কৃষকে দুই কেজি হাইব্রিড ধানের বীজ, দুই হাজার কৃষককে পাঁচ কেজি উফশী ধানের বীজ, দশ কেজি করে ডিএফপি ও পটাশ বিতরণ করলেও বোরো ধানের স্বপ্ন কেরে নেয় পানি। বস্নক ম্যানেজার জলিল বলেন, গত এক মাসের মধ্যে খালে পানির অভাবে বিশ ঘণ্টা ইঞ্জিন চালিয়ে পানি উঠাতে পারেননি। কৃষক মাইনুল জানান, অনেক জায়গায় একমাস আগে থেকে জমি লাগানো হয়ে গেছে অনেক জায়গায় পানির কারণে লাগাতে পারেননি। খাল কেটে অথনা নলকূপের মাধ্যমে দ্রম্নত পানির ব্যবস্থা না করলে কৃষি ধরে রাখা সম্ভব হবে না। এছাড়া কৃষক সোহেল বলেন, ধান রোপণ করতে দেরি হলে বর্ষা মৌসুমে ধান ঘরে তুলতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কপিল বিশ্বাস বলেন, খাল খননের জন্য বিএডিসির কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে অচিরেই কাজ শুরু হবে এবং পানির সমাধান হবে।
কৃষকদের কথা বিবেচনা করে অতিদ্রম্নত সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর খাল খনন করে অথবা ডিপের মাধ্যমে পানির ব্যবস্থা করবে এমনটাই প্রত্যাশা কৃষি নির্ভরশীল এ উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের।