নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের বেশ কিছু পুরনো লোহা-লক্কার দোকানের কারবার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব দোকানের অধিকাংশই দেশের সর্ববৃহৎ সৈয়দপুর রেলওয়ের কারখানার চুরি করা সরঞ্জামের ওপর ও বিভিন্ন এলাকার চুরি যাওয়া পণ্যকে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। এর আগে বেশ কয়েকবার যথাযথ কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে অনেক দোকান থেকে কারখানায় চুরি যাওয়া দামি সরঞ্জাম উদ্ধারসহ বিভিন্ন এলাকার চুরি যাওয়া পণ্য যেমন- জমির সেচপাম্প, বাসা-বাড়ির টিউবওয়েল ও পাইপ উদ্ধার করেছে।
এদিকে, বর্তমানেও রেলকারখার মালামাল চুরি ঠেকানো যাচ্ছে না। দিন-রাত সমানতালে চলছে চুরি কার্যক্রম। এরকম খবর বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইদানীং বেশি করে প্রকাশ হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে সৈয়দপুর শহরে দীর্ঘদিন থেকে গড়ে উঠছে অসংখ্য লোহার শো-রুম। আর এসব শো-রুম তথা দোকানের সিংহভাগই এখন চোর সিন্ডিকেটের দখলে।
মূলত আসাম বেঙ্গলকে ঘিরে সৈয়দপুরে গড়ে উঠে ১১০ একর জমির উপর বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। এখানে তৈরি হতো রেলের যাবতীয় যন্ত্রাংশ। কিন্তু কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সেই ঐতিহ্য। যেখানে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করত, সেখানে বর্তমানে ১২শ' মাত্র। ফলে নামমাত্র চলছে কারখানা। অভিযোগ রয়েছে ওই কারখানা থেকে প্রতিদিন লাখ-লাখ টাকার লোহা চুরি হচ্ছে। আর এই চোরাই মাল কেনাবেচার জন্য গড়ে উঠেছে শো-রুম তথা ভাঙাড়ি দোকান। কারখানা থেকে চুরি হওয়া মালামাল প্রথমে এসব দোকানে এনে জমা করা হয়। এরপর এখান থেকে ট্রাক যোগে পাঠানো হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পুলিশ মাঝেমধ্যে চোর সিন্ডিকেট সদস্যদের হাতেনাতে গ্রেপ্তার করলেও আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে জামিন নিয়ে বের হয়ে আবারও পুরোদমে চালায় তাদের কার্যক্রম। দুর্বল মামলার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ সাকিউল আজমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, 'আমাদের ডিউটি রেললাইনের ১০ ফুটের মধ্যে। ব্যবস্থা নিলে বেঙ্গল থানা নিতে পারে।'