দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মায় ভাঙন, বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি
নদী ভাঙনের তীব্রতার কারণে বেড়িবাঁধের সন্নিকটেও ভাঙন শুরু হয়েছে। যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে ভরা মৌসুমে এই এলাকাটি বিলীন হয়ে যাবে। তারা আরও জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙনের এ তীব্রতা দেখা দিয়েছে।
প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শীতের তীব্রতার সঙ্গে শুষ্ক মৌসুমেও পদ্মায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত ২ সপ্তাহ ধরে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা, হাটখোলা ও কোলদিয়াড় গ্রামের বেশ কিছু আবাদি জমি ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এদিকে শুষ্ক মৌসুমের এই ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ রায়টা-মহিষকুন্ডি নদীরক্ষা বাঁধ, ভারত থেকে আসা বিদু্যতের সঞ্চালন লাইনসহ সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। তবে, দ্রম্নত সমস্যা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড। স্থানীয়রা জানায়, গেল মৌসুমে নদীতে বন্যার পানি বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি না পেলেও নদী থেকে পানি নেমে যাওয়ার অনেক পরে নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে মরিচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই নদী ভাঙনের ফলে কৃষকের কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভুরকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নুরুজ্জামান বলেন, ভুরকা-হাটখোলা পাড়া থেকে কোলদিয়াড় পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ৩ ফসলি জমি ও বাগান। ফসলি জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, নদী ভাঙনের তীব্রতার কারণে বেড়িবাঁধের সন্নিকটেও ভাঙন শুরু হয়েছে। যদি এই বাঁধটি ভেঙে যায়, তাহলে ভরা মৌসুমে এই এলাকাটি বিলীন হয়ে যাবে। তারা আরও জানান, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। যার ফলে শুষ্ক মৌসুমেও নদী ভাঙনের এ তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, নদী ভাঙবে এটা নদীর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। এটা রেগুলার ভাঙন। দ্রম্নত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।