গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ঘনকুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে প্রভাব পড়েছে কৃষিতেও। আলু ও ধানের চারাসহ নানা ফসলে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। ক্ষেত রক্ষায় কৃষি বিভাগের পরামর্শে ওষুধ স্প্রেসহ নানা পদ্ধতিতে জমির ফসল রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা।
চলতি বছর উপজেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এছাড়াও রবি মৌসুমে মুলা, বেগুন, টমেটো, রসুন, চিনা বাদাম, মসলা জাতীয় ফসল, বোরো বীজতলাসহ নানা ধরনের শীতকালীন ফসল চাষ করেছেন কৃষক। শৈতপ্রবাহ আর ঘনকুয়াশার কারণে জমিতে চাষ করা এসব ফসলে এর মধ্যেই নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন আলুচাষিরা।
উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের মেরী গ্রামের বাবলু মিয়া বলেন, তিনি আলুর দাম ভালো পাওয়ায় এবার ১০ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। কিন্তু তীব্র শীত ও ঘনকুয়াশায় আলু ক্ষেতে পচারিসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের ফসল রক্ষায় ওষুধ স্প্রে করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের সোহরাফ আলী বলেন, শীত ও কুয়াশায় আলু গাছে মড়ক দেখা দেওয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই জমি থেকে আলু তুলতে হচ্ছে। এতে করে আলুর উৎপাদন অনেকাংশে কমে যাচ্ছে। যে কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগ শীত ও ঘনকুয়াশায় মাঠে থাকা শুধু আলু নয়, অন্যান্য ফসল যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অন্য কোনো দুর্যোগেও যাতে শাক-সবজির কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য কৃষকদের আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় আলুর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।