ফুলবাড়ীতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো রোপণ

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পুরোদমে শুরু হয়েছে বোরো রোপণ। হাঁড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বোরো রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা। কৃষকরা বলছেন বাংলা মাঘ মাস শুরু হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বেই বোরো ধান ঘরে তুলতে হলে, তাড়াতাড়ি বোরো রোপণ শেষ করতে হবে। এ কারণে কঠিন শীত উপেক্ষা করে তারা বোরো রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা বলছেন, কঠিন শীতের কারণে তারা বোরো বীজচারা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু শৈতপ্রবাহ শুরুর আগে বীজচারাগুলো বড় হয়ে যাওয়ায় বেশি ক্ষতি হয়নি। এ কারণে তারা তাড়াতাড়ি রোপণ করে নিচ্ছেন। এদিকে বোরো রোপণ করতে গত বছরের তুলনায় সার, সেচ ও মজুরির দাম বৃদ্ধি হওয়ায় রোপণের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান কৃষকরা। কৃষক লতিফ মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় তেল ও বিদু্যতের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেচের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। একইভাবে বেড়েছে সার ও মজুরীর দামও। একই কথা বলেন বাসুদেবপুর গ্রামের কৃষক ওয়াজেদুর রহমান বাবলু। তিনি বলেন হঠাৎ করে বিদু্যতের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, একই সঙ্গে বাড়ছে সার ও তেলের দামও। আর এর প্রভাব পড়ছে কৃষকের ওপর। কৃষক নেতা সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, যে হারে বাজারের কৃষি উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই হারে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের দাম পাচ্ছে না। এজন্য তিনি কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি জানান। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বোরো রোপণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, এ বছর বঙ্গবন্ধু-১০০, ব্রী-৮০, ৯২, ১০৪ ও বীনা-২৫ জাতের বোরো ধান বেশি চাষ হচ্ছে। এছাড়া হাইব্রিট জাতের ধানও চাষ হচ্ছে বলে তিনি জানান। কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার আরও বলেন, কঠিন শীতের মধ্যে বোরো বীজচারা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ফলে শীতে বীজচারা তেমন ক্ষতি হয়নি। এ কারণে সময়মতো বোরো রোপণ শুরু করতে পারছেন কৃষকরা।