৪টি মামলায় ১৫৪ দিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র জি কে গউছ। সোমবার বিকালে হবিগঞ্জ কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি বিচারপতি রেজাউল হক ও বিচারপতি খাইরুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৯ আগস্ট বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের করা পুলিশ এসল্ট মামলায় জি কে গউছের জামিন মঞ্জুর করেন।
তার আগে গত ৩ ডিসেম্বর একই আদালত হবিগঞ্জ কারাগারে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ২০১৫ সালে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের করা মামলায় তাকে জামিন দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জি কে গউছের আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
জানা যায়, গত ১৯ আগস্ট বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর ঈদগাহ'র সামনে থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছের নেতৃত্বে পদযাত্রা শুরু করে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি। শায়েস্তানগরস্থ বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়। এ সময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রধান সড়ক ছেড়ে ভেতরের রাস্তায় চলে যেতে বলে। কিন্তু হাজারো লোক সমাগম হওয়ায় ভেতরের রাস্তায় জায়গা না হওয়ায় নেতাকর্মীরা প্রধান সড়কেই অবস্থান নেন। এ সময় নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত এবং সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেবসহ কয়েক পুলিশ সদস্যও আহত হন। এ ঘটনায় জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে বিএনপির ১২শ' নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট ও বিস্ফোরক আইনে হবিগঞ্জ সদর থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়।