ভোলায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় ছেলে মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর বাবার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি নিয়ে বিরোধে জেরে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে ডেস্ক রিপোর্ট-
স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা, ভোলার মেঘনা নদীতে বাবা-ছেলেকে নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাবা আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার দুপুরে নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে কোস্টগার্ড আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে পারভেজ সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ আব্দুল রাজ্জাকের মরদেহটি উদ্ধার করে।
ইলিশা নৌ-থানার ইন্সপেক্টর বিদু্যৎ বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তুলাতলি পয়েন্ট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি দেখতে পেয়ে জেলেরা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে অবগত করে। এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে অপর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গত রোববার বিকালে উপজেলার শ্রীফলতলী ইউনিয়নের বাজেবলিয়াদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন- উপজেলার সাজনধারা এলাকার আফাজ উদ্দিনের ছেলে রেজা সাইদ আল মামুন। তিনি উপজেলা চন্দ্রা এলাকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান প্রভাষক ছিলেন।
জানা গেছে, ওই শিক্ষক রেজা সাইদ আল মামুনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার ভাইদের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বাজেবলিয়াদী এলাকায় বংশাই নদীর ধারে নিজের ফসলি জমি দেখতে যান ওই সরকারি শিক্ষক। এ সময় কথা কাটাকাটির জেরে বড় ভাই মজিবর রহমান ও ভাতিজা সুমন তাকে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে গাজীপুরের জিরানী এলাকায় শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নিয়ে যান এলাকাবাসী। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
