কুমিলস্নায় গোমতী নদীর মাটিকাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

কুমিলস্নার দেবিদ্বারে ক্ষতবিক্ষত গোমতী নদীর বালু উত্তোলন ও মাটি কাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কুমিলস্না-৪ (দেবিদ্বার) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। গত বুধবার বিকালে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর গোমতী নদী এলাকায় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পরে তিনি ট্রলারে করে গোমতী নদীর যেসব এলাকায় মাটি লুটপাট করা হয়েছে সে স্থান পরিদর্শন করেন। এমপি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, গোমতী নদীর জাফরগঞ্জ অংশে ইউলোপ কেটে নদী সোজা করা হবে, নদীর ওপর দুটি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে, নদীর দুই পাড়ের মানুষের ভালো থাকার জন্য অবৈধ বালু উত্তোলন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এখন থেকে গোমতী নদীর বালু উত্তোলন বন্ধ করা হলো। যারা সন্ত্রাস ও লুটপাট করে খায় তারা কারও না কারও ছত্রছায়ায় থাকে, যার ছত্রছায়াই থাকুক সন্ত্রাস সন্ত্রাসই, যারা চাঁদাবাজ তারা চাঁদাবাজই, তাদের কোনো ধর্ম নেই, তারা কোনো না কোনো ক্ষমতাবান বা কোনো এমপির ছত্রছায়ায়ই এ অপকর্মগুলো হয়। আগে কি হয়েছে তা বাদ, সামনে থেকে এমন কাজ আর করতে দেওয়া হবে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এক সময়ের খরস্রোতা গোমতী নদীর দেবিদ্বার অংশে প্রায় শতাধিক স্থানে একটি প্রভাবশালী চক্র রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন নদীর বালু উত্তোলন ও ট্রাক্টরে করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করে আসছিল। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও বেপরোয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিগার সুলতানা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম, ওসি নয়ন মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জি. সবুজ চন্দ্র সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চেয়ারম্যান, জাফরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ আলম, ফতেহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মাসুদ, সুবিল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মুকুল প্রমুখ। প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে এমপি আজাদ ঘোষণা দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জয়ী হলে প্রথমে গোমতীর মাটি কাটা বন্ধ করা হবে। নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি রক্ষায় মাটিকাটা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন তিনি।