লক্ষ্ণীপুরের রায়পুরে মেঘনা নদী সংলগ্ন খালপাড়ে ৫শ' মিটারের একটি রাস্তা নির্মাণে কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির (কাবিখা) আওতায় শ্রমিকদের ব্যবহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হচ্ছে মাটিকাটার এক্সেভেটর মেশিন (ভেকু মেশিন)। উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের পানিরঘাট এলাকায় এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে কাবিখা কর্মসূচির আওতায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার প্রকল্পে দক্ষিণ চরবংশী ইউপির চরকাছিয়া গ্রামের পানিরঘাট এলাকায় ৫০০ মিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে দিনে ২৫ জন শ্রমিক মোট ৭ দিনে চার লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। রাস্তা সংস্কারে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অধিক লাভের আশায় ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা সংস্কারের কাজ করাচ্ছেন। ফলে দুর্ভোগ ও ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক, শ্রমিকসহ হতদরিদ্ররা।
দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, 'কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচিতে এক্সেভেটর মেশিন ব্যবহারের কোনো নিয়ম নেই। আমি যতদূর জানি ওই প্রকল্পটি স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে করানোর কথা। তবে কীভাবে মেশিন দিয়ে করানো হচ্ছে, সেটা বোধগম্য নয়।'
এ বিষয়ে সংরক্ষিত ইউপি সদস্য ও প্রকল্পটির সভাপতি ফাতেমা বেগম বলেন, 'এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে কম খরচে বেশি মাটি কাটা যায় বলে এমনটা করা হয়েছে। আগামীতে এ ভুল আর হবে না, আমি দুঃখিত।'
রায়পুর ইউএনও নাজমা বিনতে আমিন বলেন, যেকোনো প্রকল্পের একটি নিজস্ব নিয়মনীতি রয়েছে। সেই নিয়মের মধ্যে সেটি হতে হবে। বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।