ভাঙ্গুড়ায় থামছে না গবাদিপশু চুরি, গ্রামে গ্রামে পাহারা

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরু-মহিষ চুরি থামছে না। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে দুই কৃষক পরিবারের দুটি মহিষ ও চারটি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২৩ ও ২৫ জানুয়ারি ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের মহিষ বাথান ও খানমরিচ গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, খানমরিচ ইউপির খানমরিচ গ্রামের গরুর মালিক আব্দুল জলিল ও মহিষবাথান গ্রামের ফজলু ফকির গরু-মহিষগুলোকে গোয়ালঘরে বেঁধে ঘুমাতে যান। ভোরে গরু-মহিষগুলোকে গোখাদ্য দিতে গিয়ে তারা দেখেন, গোয়ালঘরে গরু ও মহিষ নেই। তাৎক্ষণিক আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধ্যান না পেয়ে পরিবারগুলোতে হতাশায় ভুগছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাদের চুরি যাওয়া গোসম্পদের আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা। এদিকে গরু চুরি রোধে গ্রামে গ্রামে রাত জেগে পাহারা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছে না মূল্যবান গোসম্পদ চুরি। এক দিনের ব্যবধানে একই ইউনিয়নের পাশাপাশি গ্রাম থেকে দুটি মহিষ ও চারটি গরু চুরি হওযার ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে প্রত্যন্ত দুই নম্বর খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খাঁন মিঠু বলেন, খবর পেয়েছি। গ্রামবাসীর পাশাপাশি তার পরিষদের মহলস্নাদার ও দফাদারদের আরও সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছি। উলেস্নখ্য, গত ৬ জানুয়ারি ভোর রাতে উপজেলার অষ্টমনিষা গ্রাম থেকে গরু চুরি করে গুমানী নদী দিয়ে নৌকা নিয়ে পালানোর সময় বেতুয়ান স্পটে বিক্ষিপ্ত জনতা তিন গরুচোরকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, গরু বা মহিষ চুরির বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। সম্প্রতি চোরদের উৎপাত বেড়েছে। তাই রাতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। চোরদের ধরতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।