পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে কর্মপরিকল্পনার নির্দেশ কৃষিমন্ত্রীর
প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার
মৌলভীবাজার জেলায় চাষযোগ্য পতিত জমিকে কীভাবে চাষের আওতায় আনা যাবে, কোন জমিতে কী ফসল ফলানো যাবে, সে বিষয়ে আগামী ৫০ দিনের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য স্থানীয় কৃষি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
শনিবার সকালে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত উঠান বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন। কৃষিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় পর ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কৃষকদের সঙ্গে সারাদেশে উঠান বৈঠক করেছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে এদিন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল নিরুর উঠানে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। আমন ধান কাটার পর এই গ্রামের জমি এখনো পতিত পড়ে আছে কেনো, কৃষকদের কাছ থেকে সে বিষয়ে বিস্তারিত শোনেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, চাষযোগ্য জমি অনেক। এখন বোরোর মৌসুম, অথচ আমন ধান কাটার পর এখানে সব জমি পতিত পড়ে আছে। এসব জমিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সে উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
সেচের সমস্যা নিরসনে বিএডিসিকে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শ্রমিক সংকট নিরসনে ভর্তুকি মূল্যে আরও বেশি করে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উঠান বৈঠক প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কৃষকদের সঙ্গে উঠান বৈঠক করে স্থানীয় পর্যায়ে কি কি সমস্যা আছে, তা জেনে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে লক্ষ্য- এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না, তা অর্জন করে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দেশকে খাদ্যে উদ্ধৃত্ত করা হবে।
উঠান বৈঠকে মৌলভীবাজার জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তালেব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেবসহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কৃষক ইন্দু ভূষণ পাল, উত্তম দেবনাথ, আতর আলী, মহিববুর রহমান প্রমুখ তাদের সমস্যা ও দাবি তুলে ধরেন। কৃষকরা গভীর নলকূপ স্থাপন, খাল খনন, স্স্নুইসগেট সংস্কার ও নদী-জলাশয় দখলদার মুক্ত করে সেচের ব্যবস্থা, দেশি জাতের বদলে বিএডিসির উন্নত জাতের আলুর বীজ সরবরাহ বৃদ্ধি, সূর্যমুখী, ভুট্টা ও সরিষার চাষ হয় না বলে লাউ, কুমড়া, আলু চাষে প্রণোদনা, ভরা মৌসুমে আনারস, লেবু নায্যমূল্য পেতে শ্রীমঙ্গলে জুস ফ্যাক্টরি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবি জানান।
এ ছাড়া, ভর্তুকি মূল্যে ছোট ছোট কৃষিযন্ত্র দেওয়ার দাবি জানানো হয়, যাতে কৃষক নিজেই যন্ত্র চালাতে পারেন এবং তাদের ঘরেই প্রয়োজনীয় কৃষিযন্ত্রের মজুত থাকে।