শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কয়রায় ভাঙা সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
  ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
খুলনার কয়রায় সংস্কারের অভাবে প্রায় ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া সেতু -যাযাদি

খুলনার কয়রায় সংস্কারের অভাবে প্রায় ভেঙে গিয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া একটি সেতু দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। উপজেলার সেতু সদর ইউনিয়নের ২নং কয়রা খালের ওপর নির্মিত মরণ ফাঁদে পরিণত হওয়া সেতু দিয়ে ঝুঁকি ও আতঙ্ক নিয়ে এলাকাবাসী পারাপার হচ্ছেন।

জানা গেছে, সদর ইউনিয়নের ২ নং কয়রা খালের ওপর নির্মিত সেতুটির দুই পাশে নেই কোনো রেলিং। বেশিরভাগ পিলারের পলেস্তরা উঠে গেছে এবং সেতুটির মাঝখানে ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেরিয়ে গেছে রড। ভেঙে যাওয়া সেতুটির বড় একটি অংশে কাঠের পাটাতন ও বাঁশ বিছিয়ে পার হচ্ছে ৪ গ্রামের হাজারো মানুষ ও যানবাহন। যে কোনো সময় পুরো সেতুটি ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

২ নং কয়রা গ্রামের শিক্ষক আব্দুল ওহাব ও গোবরা গ্রামের গৃহিণী সুফিয়া খাতুন বলেন, সেতু দিয়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। সেতু দিয়ে পারাপারের সময় অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের।

কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুম বিলস্নাহ বলেন, ২ নং কয়রা ও ওড়াতলা হাফিজিয়া মাদরাসার সামনে ১৯৯৬ সালে খালের ওপর সেতুটি নির্মিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি নির্মাণের কোনো লক্ষণ নেই। আতঙ্ক আর ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করছে। সেতুটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম বলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ ও ২ নং ওয়ার্ডের সংযোগ স্থলে নির্মিত সেতুটির ওপর দিয়ে পার্শবর্তী ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের জনসাধারণের কয়রা সদরে আসতে হয়। ওই ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচলের সময় ভয়ে থাকতে হয়। কখন যেন এটি ভেঙে পড়ে। এমন আশঙ্কা নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিগগিরই সেতুটি পুনর্র্নির্মাণ করা হবে।

কয়রা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি অনেক আগেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে সেতুটি পুনর্র্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে