রংপুর অঞ্চলে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ দিন দিন বাড়ছে
প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
আবেদুল হাফিজ, রংপুর
রংপুর অঞ্চলে মসলা জাতীয় ফসল পেঁয়াজ ও রসুনের চাষাবাদ আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কৃষকরা লাভবান হওয়ায় তারাও প্রতি মৌসুমে চাষাবাদে জমির পরিমাণ বাড়াচ্ছেন। এতে করে ভোক্তা পর্যায়ে ফসল দুটির দাম নাগালের মধ্যে থাকবে বলে অনেকে আশাবাদী।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় ৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হচ্ছে। যা গতবারের চেয়ে ৫২১ হেক্টর বেশি। এর মধ্যে রংপুরে ৩ হাজার ৫১০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১ হাজার ৫৬৯ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ২ হাজার ৫০৫ হেক্টর, লালমনিহাটে ৯২০ হেক্টর ও নীলফামারী জেলায় ৮৫১ হেক্টর জমি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে পেঁয়াজের আবাদ এরা বাড়তে পারে। এতে পেঁয়াজের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৬০ টন। অপরদিকে রসুনের লাক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৮৮০ টন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলের কৃষকরা পেঁয়াজ আবাদে অনেটা বিমুখ ছিল। বাজারে দিন দিন পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতিতে কৃষি কর্মকর্তারা পেঁয়াজ চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় দিন দিন পেঁয়াজ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়ে এর পাশাপাশি জমির পরিমাণও বাড়তে থাকে।
রংপুর নগরীর ১৪নং ওয়ার্ডের বড়বাড়ি হিন্দুপাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি বিষ্ণ-ঝাঁ জানান, তিনি গত কয়েক বছর থেকে পেঁয়াজ আবাদ করছেন। আগে তিনি ওই জমিতে অন্য ফসল করতেন। পেঁয়াজে লাভের মুখ বেশি দেখায় তিনি এবার জমির পরিমাণ বাড়িয়েছেন। তিনি বলেন, পেঁয়াজ আবাদে দ্বিগুণ লাভ পাওয়া যায়।
নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডের ভোলার পুকুর এলাকার আফজাল হোসেন জানান, তিনি গত ৮ বছর থেকে পেঁয়াজ চাষ করে আসছেন। প্রথমে তিনি ৬ শতক জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেন। এখন তিনি জমির পরিমাণ চার গুণ বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, লাভের অঙ্ক বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করবেন।
অপরদিকে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় গতবারের চেয়ে এবার ১১৮ হেক্টর বেশি জমিতে রসুনের আবাদ করা হচ্ছে। এবার মোট জমির পরিমাণ ৩ হাজার ৪৮৪ হেক্টর। এর মধ্যে রংপুরে ১ হাজার ২৭০, গাইবান্ধায় ৩২৬ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ৬১৫, লালমনিরহাটে ৪৫৭ ও নীলফামারীতে ৮১৬ হেক্টর রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক আব্দুলস্নাহ আল মামুন জানান, পেঁয়াজ ও রসুন চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে বলে জানান তিনি। তবে এবার রসুনের আবাদ আর বাড়বে না।