দামুড়হুদায় কাবিখা প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

তদন্ত শেষে তিন ইউপি সদস্যকে দুদকে তলব

প্রকাশ | ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ কাবিখা প্রকল্পের কাজ না করে পুরো টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের তদন্ত শেষে ইউনিয়ন পরিষদের তিন ইউপি সদস্যসহ এক প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারিকে চিঠি দিয়ে তলব করার ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রম্নয়ারি কাবিখা প্রকল্পের দুর্নীতি তদন্তে আসে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর একটি টিম। এন্টি করাপশন কমিশন বাংলাদেশ'র ফেসবুক পেজে ২০২৩ সালের ১৬ তারিখে উলেস্নখ করা হয় চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাজ না করেই কাবিখা প্রকল্পের অর্থ উত্তোলন পূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে দুদক, সেকা, ঝিনাইদহ হতে আজ আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরে বাস্তবায়নকৃত বিভিন্ন কাবিখা প্রকল্প পরিদর্শন করে এনফোর্সমেন্ট টিম। পরিদর্শন কালে কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন পূর্বক আত্মসতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুদক তদন্ত করার পরে নিজেদের বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে মাসখানেক পর সেই সব প্রকল্পে কাজ করে তা শেষ করে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা। গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন সেগুন বাগিচা ঢাকা কার্যালয় থেকে ডাকযোগে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ ভগু, ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা সাজিবার রহমান, একটি প্রকল্প প্রতিষ্ঠানের সেক্রেটারির নামে চিঠি আসে। জানা গেছে, তাদের আগামী ২৮ তারিখ স্বশরীরে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গত বুধবার সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার আনেহারের নামেও দুদক থেকে চিঠি আসে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নুর মোহাম্মদ মেম্বারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ ধরনের কোনো চিঠি এখনো পাননি। আনেহার মেম্বার জানান, 'আমি দুইদিন পরিষদে যাইনি। কাল গিয়ে জানতে পারব।'