নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পেঁয়াজ, রসুন, আটা-ময়দাসহ মশলার সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে শীতকালীন সবজির দাম। প্রতিবছর শীত মৌসুমে সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। গড়ে প্রতি কেজি সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এমনকি শীতকালীন সবজি শিম ১০০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ সবজির দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় মধ্য বিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এতে করে প্রত্যেকে প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেক সবজি কিনে কোনোরকমে বাজার ত্যাগ করছেন। অনেক ক্রেতাই অভিযোগ করেন ভোক্তা অধিদপ্তর কিংবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত অভিযান হলে এসব সবজির দাম কিছুটা কম রাখত ব্যবসায়ীরা। তবে একাধিক ব্যবসায়ী জানান, বারবার বৃষ্টি হানা দেওয়ায় এ বছর শীতকালীন সবজির আশানুরূপ ফলন হয়নি। এছাড়াও কুমিলস্নার নিমসার থেকে এসব শীতকালীন আনা-নেয়ার বহন খরচও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তাই এ বছর শীতকালীন সবজির দাম একটু বেশি।
সরেজমিনে চৌদ্দগ্রাম বাজার এবং মিয়াবাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, আলু ৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ থেকে ১০০, পেঁয়াজের কলি ৪০ থেকে ৫০, বরবটি ১০০ থেকে ১২০, দেশী শিম ৯০ থেকে ১০০, কাঁচা মরিচ ৮০, পেঁপে ৩০/৩৫, পাতাকপি (কেজি) ৫০-৬০, লাউ ৮০ থেকে ১০০, গোল বেগুন ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৫০, দেশি গুটি বেগুন ৮০ থেকে ৯০, মুলা ৪০, ঝিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০, শিমের বিচি ১৮০ থেকে ২০০, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার মিয়াবাজার এলাকার ভ্যানচালক আব্দুর রহমান জানান, মাছ-মাংস কেনা ছেড়ে দিয়েছি, 'এখন সবজি কিনে খাওয়াও কঠিন হয়ে গেল। আজ বাজার থেকে একটা ফুলকপি কিনেছি ৬০ টাকা দিয়ে। শীতকালে প্রতিবছর এসব সবজির দাম খুবই কম থাকে, কিন্তু এ বছর বাজারের পরিস্থিতি ঠিক উল্টো।'
চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকার অটোরিক্সা চালক রাসেল বলেন, 'প্রতিবছরের এ সময়ে আলু কিনতাম মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে, টমেটো-শিম ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে। কিন্তু এ বছর ভরা মৌসুমেই এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এভাবে চলতে থাকলে সবজি কিনেও সংসার চালানো সম্ভব হবে না।