কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে তীব্র শীতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা বিক্রির ধুম পড়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে এসব পিঠা বিক্রি। প্রতিটি দোকানেই থাকে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিন দেখা যায়, এ কনকনে শীতে উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, হাইস্কুলের সামনে, হাসপাতাল মোড়, এলএসডি গোডাউনের আশপাশেসহ উপজেলা শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোডের ফুটপাত ও পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহলস্নার রাস্তার মোড়ে দেদারছে এসব পিঠা বিক্রি হচ্ছে। দোকানিরা ফুটপাতে মাটির চুলা, এলপি গ্যাস ও কেরোসিনের চুলা বসিয়ে পিঠা তৈরি করছেন। এসব দোকানে চিতই পিঠা, মেরা পিঠা, চেপাপিঠার পাশাপাশি এবার শীতে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠারই কদর বেশি। ক্রেতাদের অর্ডার অনুযায়ী খেজুরের গুড়, ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাঁপা পিঠা তৈরি করে দেওয়া হয়।
এছাড়া চিতই পিঠার সম্পর্কে ক্রেতাদেরকে সরিষার ভর্তা ও শুঁটকির ভর্তা দেওয়া হচ্ছে। গরম গরম পিঠা পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি। প্রতিটি বড় ভাঁপা পিঠা ১০ থেকে ২০ টাকা ও চিতই পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌর শহরের হাইস্কুল মার্কেটের পিঠা বিক্রেতা হাসিম মিয়া জানান, প্রতিদিন তিনি গড়ে চার হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করেন। এতে তার লাভ হয় ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। তিনি জানান, চিতই পিঠার সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী সরিষার ভর্তা ও শুঁটকির ভর্তা দেন।
পিঠা নিতে আসা শাহজাহান মিয়া ও সাজনসহ অনেকই জানান, 'আগে শীতের দিনে বাড়িতে মা-চাচিরা তাদেরকে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে খাওয়াতেন। এখন নানা কারণে ঐসব স্মৃতির গহীনে হারিয়ে গেছে। তাই সুযোগ পেলেই পৌর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা কিনে নিয়ে যান তারা। তাদের মতো অনেকই এসব পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই এবার শীতে পিঠা বিক্রি যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে।