শীতে সারিয়াকান্দির স্কুলগুলোতে কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি
প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শীতে কাবু হয়ে পড়েছে। অনেকেই ছেড়ে দিয়েছে স্কুলে আসা। এতে লেখাপড়া বিঘ্নিত হলেও বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের। ধনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ অবস্থা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের শীতে কাবু হয়ে পড়েছে এ জনপদের বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। বিশেষ করে বাঁধ ও চর এলাকার মানুষ শীতে একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে আবার সারাদিনেও সূর্যের দেখা না মেলায় লোকজন একেবারে জবুথবু হয়ে পড়েছেন। শীত নিবারণের জন্য স্থানীয়ভাবে অনেক রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে এ অঞ্চলের শিশু-কিশোররা ত্রাহী অবস্থায় পড়েছে।
সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামে গত মঙ্গলবার সোয়া একটায় গিয়ে দেখা যায়, ধনতলা সরকারি প্রাথমিক স্কুলে আসা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে জবুথবু অবস্থায়। ক্লাসে ক্লাসে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকদের পাঠ দানের ব্যস্ততা। বেঞ্চে বসা ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শীতে লিখতে পারছে না। প্রচন্ড শীতে কাঁপছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা বলেন, পায়ে জুতা সেন্ডেল না থাকায়, পাকা মেঝের ঠান্ডাতে তাদের শরীর আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগ-বালাই। শীতের জন্য আলাদা কোনো নির্দেশনা না থাকায় পাঠদানে আমরা কোনো হেরফের করতে পারছি না।
স্থানীয় সমেস আলী বলেন, 'আমাদের ধনতলা গ্রামটি ছিল যমুনা বাঁধের প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বে। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে সেখান থেকে সরে এসেছে দিঘলকান্দি গ্রামের সামনে। এখানকার বাঁধের ধারে জনবসতি গড়ে তুলেছি আমরা। গ্রামের লোকেরা ছিন্নমূল, ভূমিহীন হয়ে পড়ায় জেগে ওঠা চরে চাষবাস, কেউবা ক্ষুদ্র ব্যবসা আবার, কেউবা এখন শ্রমিক হয়ে জীবন-যাপন করেন। বড়রা বিভিন্ন রকমের শ্রীহীন গরম কাপড়ে শীত নিবারণ করলেও, শিশুদের দিকে নজর নেই তেমন। যার জন্য ক্ষুদে শিক্ষারর্থীরা গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্ট করে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, মোট শিক্ষার্থী ৮৬ জন। প্রচন্ড শীতে স্কুলে আজ হাজির হয়েছে ৩৬ জন। অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি উলেস্নখযোগ্য হারে কমে গেছে। এ গ্রামের মানুষ গরিব, ছিন্নমূলের মতো বসবাস করেন।'
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, 'আমার জানা ছিল না, গরম কাপড়ের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষুদে শিক্ষারর্থীদের জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'