মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে। এ মেলায় খুদে শিক্ষার্থীরা যে প্রকল্পগুলো নিজেরাই কীভাবে ছোট ছোটভাবে করা যায় সেগুলো হাতে-কলমে দেখানোর চেষ্টা করেছে। এতে সব প্রকল্পে সাশ্রয় হবে। এর ধারাবাহিকতার মাধ্যমে খুদে শিক্ষার্থীরা ভবিষতে গবেষক ও বিজ্ঞানী হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা চত্বরে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ, বিজ্ঞান মেলা এবং বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, 'আপনারা এ মেলার বিষয়ে ছেলেমেয়েদের উৎসাহিত করবেন। খুদে শিক্ষার্থীরা যা তৈরি করেছে তাদের সে তৈরিটা দেখেন। মেলায় গিয়ে তাদের তৈরি বিষয়ে জানতে চান। এতে খুদে বিজ্ঞানীদের আরও আগ্রহ বাড়বে। এ সময় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ মেলায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
এর আগে 'বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্ভাবনেই সমৃদ্ধি' সেস্নাগানকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাইজকীর সভাপতিত্বে মেলায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ কবীর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিন, কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম, উপজেলা পলস্নী উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নাসরিন আরা পুষণ, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন জয়, সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হারিজ উজ্জামান খান প্রমুখ।
পরে মেলা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার, সেলাই মেশিন, ক্রীড়া সামগ্রী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গ্রামীণ বাস্তবায়নাধীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ২য় পর্যায়ের চেক ও ঢেউটিন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও সাইকেল বিতরণ করেন।