'স্বাভাবিক মৃতু্য নয়, আসামিরা সম্পত্তির লোভে হায়দার আলীকে হত্যা করেছে। পরিকল্পিতভাবে হায়দার আলীকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা করান আসামিরা। ফলে হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে ধুঁকে ধুঁকে মৃতু্যবরণ করেন।' বোনের এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে দাফনের তিন মাস ২০ দিন পর হায়দার আলীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। হায়দার আলী চৌগাছা উপজেলার মাকাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত খান ও চৌগাছা থানার এসআই মাহফুরুর রহমানের উপস্থিতিতে উপজেলার মাকাপুর পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, ২০২৩ সালে ৯ অক্টোবর হায়দার আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। কিন্তু ২৭ ডিসেম্বর হায়দার আলীর বোন হামিদা বেগম হায়দার আলীকে হত্যার অভিযোগে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী-ছেলে ও মেয়েসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক ইমরান আহম্মেদ অভিযোগের তদন্ত করে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন।