হাজীগঞ্জে ৪ হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা
চিতলমারীতে ক্লিনিকসহ তিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
প্রকাশ | ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি ক্লিনিকসহ তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চারটি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে জরিমানা এবং একটি ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি ক্লিনিকসহ তিনটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলো হলো হাবিবা ক্লিনিক, হালদার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং বারিশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এ সময় হাবিবা ক্লিনিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
মঙ্গলবার চিতলমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেদবতী মিস্ত্রি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ অর্থ দন্ডাদেশ দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুন হাসান জানান, 'হাবিবা ক্লিনিকের লাইসেন্স ও নিবন্ধন না থাকায় জেলা সিভিল সার্জন চিঠি দিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারা সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটি চালাচ্ছিল। এ ছাড়া হালদার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বারিশ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিবন্ধন না থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে চারটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় 'ডেন্টাল কেয়ার' নামে একটি ডেন্টাল চিকিৎসা কেন্দ্র সিলগালা করা হয়েছে।
বুধবার হাজীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাছান মানিক এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাছান মানিক জানান, 'লাইসেন্স নবায়ন না থাকা ও সার্টিফিকেট ছাড়া নার্স নিয়োগসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে হাজীগঞ্জ পপুলার ল্যাব অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা, ভিআইপি হাসপাতালকে ৪০ হাজার টাকা, নিশাত হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা ও আল-রাজি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও মোবাইল কোর্ট দেখে চেম্বার থেকে পালিয়ে যাওয়ায় দন্ত চিকিৎসা কেন্দ্র ডা. বিলস্নাল হোসেনের চেম্বারটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।