শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এক সময় বাজরে প্রবেশ করলেই দেখা যেত সারিবদ্ধ বাঁশের ঢাকিতে ঢেঁকিছাঁটা চাল রেখে মাটিতে বসে বিক্রি করতেন খুচরা চাল বিক্রেতারা। কালের বিবর্তনে অধিকাংশ গ্রামে ঢেঁকি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিলুপ্ত হয়ে গেছে সারিবদ্ধ ঢাকিতে রাখা ঢেঁকিছাঁটা চাল বিক্রিও।
অতীতের দিনে হাতেগোনা বড় গৃহস্থ ব্যতীত অধিকাংশ মানুষ সাধ্য অনুযায়ী ১ কেজি থেকে শুরু করে চাহিদা অনুযায়ী ১০ কেজি পর্যন্ত খুচরা চাল কিনতেন। তখনকার সময়ের মানুষের আয় সীমিত ও অভাব অনটন ছিল। বাজারে প্রবেশ করলেই নজরে পড়ত সারিবদ্ধ বাঁশের ঢাকিতে রাখা চাল নিয়ে বিক্রির জন্য অপেক্ষারত খুচরা চাল বিক্রেতাদের। ওই সময়ে বাজরে নির্দিষ্ট চাল মহলকে চালহাটা নামে পরিচিতি ছিল।
আধুনিকতার ছোঁয়ায় অটো রাইস মিল হওয়ায় বর্তমান বাজারে ৫০ ও ২৫ কেজি চালের বস্তা বিক্রির প্রচলন শুরু হওয়ায় বাঁশের ঢাকিতে রেখে চাল বিক্রি চলে না। অতীতের দিনের মতো বর্তমানে খুচরা চাল ক্রেতাও নেই। সারিবদ্ধ ঢাকিওয়ালা খুচরা চাল বিক্রেতা এখন আর নেই বলেই চলে। সরেজমিন চালহাটা খ্যাত মহলে গিয়ে দেখা মেলে ঢাকিতে চাল নিয়ে বসে আছেন খুচরা চাল বিক্রেতা হাবেজ আলীসহ আরও দুজনকে।
হাবেজ আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে তিনটি দোকান আছে। আগে থেকেই ঢাকিতে করে ঢেঁকিছাঁটা চাল বিক্রি করতেন। এখন আর ঢেঁকিছাঁটা চাল পাওয়া যায় না। আবার আগের মতো চাল বিক্রিও হয় না। কোনো দিন চার-পাঁচ কেজি বিক্রি হলেও বেশিরভাগই দিন চাল বিক্রি হয় না। ঢাকিতে চাল বিক্রিতে অভ্যাস, তাই মিলের চাল নিয়ে সারাদিন বসে থাকেন।