খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বাজারে প্রতিযোগিতা করে ধান কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাপাসিটির বেশি অবৈধ মজুত করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দেশের ছয়টি করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলাম। তারা বলেছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতা করে ধান কিনে মজুত করছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান মোটা চালের ব্যবসা না করলে আমাদের সঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল না। মিলাররা আপনাদের দিকে আঙুল তোলে। মিডিয়াও দোষারোপ করে। আমরা প্রকৃত চিত্র জানতে চাই।
তিনি আরও বলেন, করপোরেট প্রতিষ্ঠান ভ্যালু অ্যাড করে বাজারে পণ্য বিক্রি করে। সে কারণে তারা বেশি দামে বাজার থেকে ধান কেনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
বাজার থেকে অল্প পরিমাণ ধান কিনলেও তার প্রভাব পড়ে খুব বেশি। তখন অন্যরাও বেশি দামে ধান কিনতে বাধ্য হয়। এটা বাজারের জন্য অশুভ বলে উলেস্নখ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে, যেটাতে এমআরপি লেখা থাকে। আমরা চাই পাশাপাশি মিল গেটের দামও লেখা থাকুক। বস্তায় মিল গেটের দাম লেখা থাকলে হঠাৎ করে কিংবা অযৌক্তিকভাবে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়াতে পারবে না।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতামূলকভাবে বাজারে কেউ ধান-চাল কিনছে কি না বা অবৈধ মজুত করছে কি না তা নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কেউ ক্যাপাসিটির বাইরে মজুত করার চেষ্টা করলে প্রয়োজনে মজুত ক্যাপাসিটি রিভিউ করব।
সিটি গ্রম্নপ, স্কয়ার, প্রাণ-আরএফএল, মেঘনা গ্রম্নপ, এসিআই ও আকিজ এসেনশিয়াল-এর প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন।
এ সময় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বস্তায় মিল গেটের দাম লেখার বিষয়ে সম্মতি জানান। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ক্যাপাসিটি ও ক্রয়-বিক্রয়ের চিত্র তুলে ধরেন এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সভায় খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, এফপিএমইউ-এর মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলমসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।