নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুমোদন না থাকা এবং কৃষি উর্বর জমি হতে মাটি সংগ্রহ করে ইট তৈরির দায়ে তিন ভাটা মালিকের জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এদিকে বাগেরহাটের রামপালে সিনজেনটা কোম্পানির নকল কীটনাশক জব্দ ও একজনকে আটক এবং শরণখোলায় চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিনিদিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি জানান, ইটভাটা পরিচালনায় অনুমোদন না থাকা এবং কৃষি উর্বর জমি হতে মাটি সংগ্রহ করে ইট তৈরির অপরাধে নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। গত রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন ইটভাটা মালিকের ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের আইসঢাল কলাবাগান এলাকায় অবস্থিত মেসার্স এবিএল ব্রিকস্ এবং কুঁজিপুকুরের চিকলীতে অবস্থিত আব্দুর রাজ্জাকের (রাজু) মালিকানাধীন মেসার্স এমএইচই ব্রিকস ও মো. জাহিদ সরকারের মালিকানাধীন মেসার্স ইউবিএল ব্রিকসের ভাটার কোনো অনুমোদন নেই। এছাড়াও অনুমোদনবিহীন উলিস্নখিত তিনটি ইটভাটার মালিকেরা উর্বর কৃষি জমি হতে মাটি সংগ্রহপূর্বক ইট তৈরি করা হচ্ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত মেসার্স এবিএল ব্রিকসের মালিকের ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, মেসার্স এমএইচই ব্রিকস মালিকের ১ লাখ ৪০ হাজার এবং মেসার্স ইউবিএল ব্রিকস মালিকের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ফয়লা বাজার এলাকায় সিনজেনটা কোম্পানির নকল কীটনাশক আটক করা হয়েছে। কোম্পানির কোনো প্রতিনিধিকে না পেয়ে নকল কীটনাশক বহনকারী মিনি পিকআপের চালক হাফিজুল ইসলামকে (৩৫) সাত দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাফিজুল সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিষপুর গ্রামের মৃত দাউদ আলী গাজীর ছেলে। তিনি গত রোববার সাতক্ষীরার আঠারো মাইল থেকে একটি মিনি পিকআপে হাফিজুল ইসলামসহ জনৈক ঝন্টু ফয়লা বাজারের ওমর ফিশফিডের দোকানে ৭৫০ কেজি ম্যাগ সালফেট ৯০ কেজি থিয়োভিট কীটনাশক এবং ৫০ কেজি গ্রোজিন নিয়ে আসেন। শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে শরণখোলায় ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম শামীম বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে চার প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার রায়েন্দা বাজারে পাঁচ রাস্তা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল ইসলাম উপজেলার পাঁচ রাস্তা এলাকায় নিউ সাতক্ষীরা মিষ্টি ঘরকে বাসি মিষ্টি জাতীয় খাবার রাখার অভিযোগে ৫ হাজার, একই অপরাধে আদি সাতক্ষীরা মিষ্টি ভান্ডারকে একহাজার, মদিনা হোটেলকে একহাজার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় মুনিম ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।