অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফিরেছেন রাজশাহীর ৫৭জন চরমপন্থী। সরকারের বিশেষ সহায়তায় গেল তিন বছরে স্বাবলম্বী হয়েছেন আলোর পথযাত্রীরা।
২০১৯ সালে পাবনায় আত্মসমর্পণের পর রাজশাহীর ৫৭জন চরমপন্থীকে স্বাবলম্বী করতে সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার সার্বিক তত্ত্ব্বাবধানে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সরকার প্রদত্ত অর্থের মাধ্যমে রাজশাহীর বাগমারা এবং তানোর উপজেলায় দুইটি প্রকল্প চালু করা হয়। 'রাজশাহী স্বপ্নচাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেড' নামে একটি বে-সরকারি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ সংস্থার মাধ্যমে রাজশাহীর আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারাদের দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। একটি 'সমন্বিত কৃষি খামার প্রকল্প-০১' নামে এবং অন্যটি 'সমন্বিত কৃষি খামার প্রকল্প-০২' নামে অভিহিত।
জানা যায়, রাজশাহীর তানোর ও বাগমারা উপজেলায় ৯০ বিঘা জমিতে মাছ চাষ, গবাদিপশু পালন ও সবজি চাষের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। রাজশাহী স্বপ্ন চাষ সমন্বিত কৃষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে বরাদ্দ দেওয়া এসব জমিতে মাছ চাষ, পশুপালন ও সবজি চাষ করে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই স্বাবলম্বী হয়ে আলোর পথে ফিরে আসে আত্মসমর্পণকৃত এই চরমপন্থীরা। তাদের স্বাবলম্বী করার অংশ হিসেবে গত রোববার রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া এলাকার প্রকল্প-২-এর পুকুর হতে মাছ ধরে বাজারজাত করা হয়। এ সময় রাজশাহী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।