কিশোরগঞ্জের হাওড়ে মিষ্টি কুমড়া ও খিরা আবাদে লাভবান কৃষক
প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওড়ে শীতকালীন সবজি, মিষ্টি কুমড়া ও খিরা আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। মিষ্টি কুমড়া ও খিরা চাষে তুলনামূলকভাবে খরচ কম।
ফলনও ভালো এবং লাভও বেশি। পুষ্টিগুনে এই সবজিগুলোর মধ্যে দুটি অন্যতম। নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া ও খিরা খেলে শরীরের পাশাপাশি ভালো থাকে ত্বক ও চুল। দূর হয় পেটের নানাবিধ সমস্যাও।
চিকিৎসকদের মতে, মিষ্টি কুমড়া ও খিরার মধ্যে এ ও সি ভিটামিন রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়ামও রয়েছে। যা খেলে শরীরের বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে এই সবজিগুলো।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কৃষকরা প্রতি একরে মিষ্টি কুমড়া ১০০-১২০ মণ পর্যন্ত ও খিরা একর প্রতি ১২০-১৪০ মণ পর্যন্ত হয়ে থাকে। কৃষকরা এবার খিরা ও মিষ্টি কুমড়া ফলনে খুবই খুশি। প্রতি পিস মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি করে থাকে। আর এক কেজি খিরা বিক্রি হয় ২০-২৫ টাকায়। ভালো জাতের বীজ পেলে খিরা ও মিষ্টি কুমড়ার ফলন আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজিতপুরের হাওড়ের কিছু এলাকার মধ্যে দিঘীরপাড়, আছানপুর, হুমাইপুর, মাইজচরের বাহেরবাওলী, আয়নারগোপ এলাকায় কয়েক শত একর জমিতে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া ও খিরা জমি থেকে তুলে নিয়ে আসছেন। এ ছাড়া নিকলী, কুলিয়ারচর, কটিয়াদী, ইটনা, মিটামইন, ভৈরবসহ সব জায়গায় এসব সবজি আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে অনেকাংশে বেড়েছে এই সবজিগুলোর আবাদ।
কৃষকরা জানান, মিষ্টি কুমড়া ও খিরা চাষে তেমন বেশি পানির দরকার হয় না। সার, নিড়ানি খরচও কম লাগে। গবাদিপশুর বিষ্টাকে তারা জৈব সার হিসেবে কাজে লাগালে ভালো ফলন হয়।
অন্যদিকে ছাতিরচর জোয়ানশাহী হাওড়েও এই সবজি ভালো ফলন হচ্ছে। এইসব হাওড়ে গত বছরের তুলনায় এই বছর মিষ্টি কুমড়া ও খিরার চাষ বেড়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা উপ-পরিচালক আব্দুস ছাত্তার বলেন, কৃষকরা এখন বাণিজ্যমুখী। যে দিকে বেশি লাভ হবে, সে দিকে তারা মনযোগী হন।