সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কের কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকার সংস্কার কাজের শুরুতে সড়কের দুই দিকের তিন ফুট করে ছয় ফুট মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও সামান্য পলিমাটি দিয়ে দায় সারছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে করে একটু বৃষ্টি হলেই দুই দিকের মাটি বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষ করে ছাতক অংশের খারুলগাঁও, মির্জাপুর, লক্ষ্ণীভাউর এবং দোয়ারাবাজার অংশের নৈনগাঁও এ পলিমাটি দিয়ে সড়কের দুই দিক ভরাট করা হচ্ছে। সাইডে তিন ফুট মাটি ভরাটের স্থলে দেওয়া হচ্ছে দেড় থেকে দুই ফুট। স্থানীয় বাসিন্দারা কাজের শুরুতে নিম্নমানের কাজ এবং সড়কের দুই দিকে পলিমাটি ফেলতে বাধাবিপত্তি দিয়ে আসলেও কোনো প্রতিকার হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা যায়, ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ছাতক-দোয়ারাবাজার ১৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ পায় 'জনজেবি' নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরু থেকে নানা অনিয়ম চলছে এই সড়কে। দুর্বাঘাস পরিষ্কার করে সড়কের দুই দিকে মাটি ভরাটের কথা থাকলেও ঘাস পরিষ্কার না করেই ফেলা হচ্ছে পলিমাটি। যা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাবে সহজেই।
খারুলগাঁও গ্রামের জাকারিয়া বলেন, পুরো সড়কের দুই দিকে দুর্বাঘাস পরিষ্কার না করে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। আমাদের অংশে মাটির বদলে ফেলা হচ্ছে পলিমাটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি (প্রকৌশলী) সজীবুল ইসলাম বলেছেন, 'আমি কিছুই বলতে পারছি না। কাজের ত্রম্নটির বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নিন।'
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সাইদুর রহমান সড়কের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে যাওয়ার পর তাকে সড়কের কাজে ত্রম্নটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, এসডিও অথবা নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্য নিতে পারেন।
ছাতক সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন সোহাগের বক্তব্য নিতে তার মোবাইল ফোনে কল করা হলে মোবাইলটি বন্ধ দেখায়।
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রাং বলেন, ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়কে সংস্কার কাজ চলমান আছে। ত্রম্নটি হয়ে থাকলে ঠিকারকে অবহিত করা হবে।