নেপথ্যে চুরি : দেহের পর এবার মাথা ও ছুড়ি-মোবাইল উদ্ধার

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় নিখোঁজের পর হত্যাকান্ডের শিকার ভ্যানচালক মানিকুল ইসলামের মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধারের পর এবার মাথা, মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহার ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশী একজনের ভ্যান চুরির অভিযোগ উঠায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মানিকুল ইসলাম। শনিবার সকালে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দালালপাড়া থেকে এ সব উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে শুক্রবার দুপুরে একই ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রমনীগঞ্জ থেকে তার মাথা বিহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। মানিকুল ইসলাম ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে বলে জানা গেছে। এ হত্যাকান্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মানিকুলকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবার। এ ঘটনার পর থেকে মানিকুল নিখোঁজ হন। শুক্রবার বিকালে ভুট্টা ক্ষেতে এক মহিলা তার মরদেহ দেখে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে খবর দেন। পরে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয়রা থানায় জানালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এদিকে শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুড়ি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করেছে। কি কারণে এ হত্যাকান্ড তা নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মানিকুল হত্যাকান্ডের শিকার হতেও পারেন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই চুরির ঘটনায় মানিকুলের সঙ্গে আরও যারা জড়িত ছিলেন তাদের সঙ্গে হয়তো কোনো বিরোধ দেখা দিলে তাকে হত্যা করা হয়। ইতোমধ্যে চুরি হওয়া ভ্যানও উদ্ধার করেছে সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ। মানিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফোনে তার স্বামী তাকে জানান রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলার দরকার নেই। কিন্তু রাত ৮টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মানিকুলের মা শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।