কক্সবাজারের উখিয়ায় বিনা লাইসেন্সে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডেন্টাল কেয়ার, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বিভিন্ন স্টেশন ও হাটবাজারে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এসব ডেন্টাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপচিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ডেন্টাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান নেই বললেই চলে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সামন্ত লাল সেন লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কয়েকদিন পার হওয়ার পরও উখিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডেন্টাল কেয়ার ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়নি। এ নিয়ে সুশীলসমাজে নানা মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক নুরুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উখিয়া, কোটবাজার, কুতুপালং, থাইংখালী, সোনার পাড়া ও মরিচ্যা স্টেশনে গড়ে ওঠা ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডেন্টাল কেয়ার, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ায় ২৭টি হাসপাতালে, ডায়াগনস্টিক, প্যাথলজি ল্যাব, ক্লিনিক ও ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে আটটি ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। বিনা লাইসেন্সে এসব ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার চালু করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চমকপ্রদ তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নুরুল আলম এ বিষয়ে জানান, চলতি হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, এসব ডেন্টাল কেয়ার সেন্টারে কোনো বৈধ লাইসেন্স নেই। এমনকি প্রশিক্ষণ ছাড়াই হাতুড়ে লোক দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে এসে অনেকের অপমৃতু্য হয়েছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি ল্যাবের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নেই। এমনকি কাগজপত্র থাকলেও হালনাগাদ নবায়ন নেই।
অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা হাসপাতাল, ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক ও ডেন্টাল কেয়ার সেন্টার বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে অপচিকিৎসার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন সুশীলসমাজ।