ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি পাচারের মহোৎসব চলছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উপজেলার ২০টি পয়েন্টের বিভিন্ন এলাকায় অবাধে ভেকু দিয়ে গভীর গর্ত করে মাটি কাটার ফলে ফসলি জমি ডোবায় পরিণত হচ্ছে। এতে যেমন ফসলি জমির আবাদ পড়েছে হুমকির মুখে ঠিক তেমনি হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের নূরুলের বিল সাপমারা ইউনিয়নের বাল্যে ও মালস্না পৌর এলাকার বড় সাতাইল বাতাইল গ্রামের খত্রিপাড়া, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের সাপগাছি হাতিয়াদহ, ছাতারপাড়া, শাখাহার ইউনিয়নের কোগারিয়া, রাখালবুরুজ ইউনিয়নের ঘিডাঙ্গা, হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা, ক্রোড়গাছা, কামারদহ ইউনিয়নের চাঁদপাড়াসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি পাচার হচ্ছে। এসব মাটি ব্যবহার হচ্ছে ইট তৈরিসহ নানা কাজে। অভিযোগ উঠেছে, অবৈধ ড্রেজার ও মাটি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ও ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাই অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মিলছে না। উপজেলার রামপুরা গ্রামের রমজান আলী জানান, 'মাটি পরিবহণ কাজে নিয়োজিত মাহিন্দ্র ও ট্রাক্টর চলাচলের জন্য জমির মাঝ দিয়ে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। মাটিভর্তি এসব অবৈধ ট্রাক্টর টলির ভারী চাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কাঁচা-পাকা সড়ক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ জানান, 'টপসয়েলকে ফসলি জমির প্রাণ বলা হয়। এখানে থাকে মাটির জৈব পদার্থ। টপসয়েল কাটা হলে ওই জমি উর্বর শক্তি হারায় এবং দীর্ঘমেয়াদি ফসল উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল মিয়া বলেন, 'জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তি জমির শ্রেণি পরিবর্তন কিংম্বা জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি অন্যত্রে বিক্রি করতে পারবে না। এই নিয়মের বাইরে গিয়ে কেউ জমির মাটি কেটে বিক্রি করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'