শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

নীলফামারীতে ভুয়া নিউরো সার্জন আটক, ক্লিনিক সিলগালা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী
  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
নীলফামারীতে ভুয়া নিউরো সার্জন আটক, ক্লিনিক সিলগালা

চিকিৎসা নামক মহান পেশার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে এরই মধ্যে শত শত রোগীর চিকিৎসা দিয়ে জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছেন ভূয়া চিকিৎসক ফারুক হোসেন ওরফে রুবেল। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানতে পারেননি যে, তিনি একজন ভূয়া চিকিৎসক।

শুক্রবার মদিনা ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকে রোগীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাকে ১ বছরের কারাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও এক মাসের জন্য ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ দিয়ে সিলগালা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ।

জানা গেছে, ফারুক হোসেন নিজেকে নিউরো সার্জারি এমবিবিএস (রাজঃ), বিসিএস (স্বাস্থ্য), এফসিপিএস (ফিজিক্যাল মেডিসিন), এমডি (নিউরো মেডিসিন) এফপি, নিউরো মেডিসিন, মেডিসিন ও বাত-ব্যথা রোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলজি বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ঢাকা এই পরিচয়ে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। ফারুক হোসনে রংপুর জেলার নীলকণ্ঠ এলাকার মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।

এদিকে নীলফামারী জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা সদয় সৈয়দপুর, ডোমার, জলঢাকা, ডিমলা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বেশির ভাগই চলছে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে। অভিযোগ উঠেছে, সংশ্লিষ্টদের যোগসাজশে বছরের পর বছর ধরে চলছে অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

অভিযোগ উঠেছে বেশির ভাগ ক্লিনিকেরই বৈধ কাগজপত্র না থাকার। নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসক, পর্যাপ্ত জনবল, অপারেশন থিয়েটর, ল্যাব, পর্যাপ্ত মেশিনপত্র না থাকলেও রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বছরের পর বছর।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে