চৌগাছায় ৫ কোটি টাকার পেঁয়াজের চারা বিক্রির আশা
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
গ্রীষ্মকালীন 'মুড়িকাটা' পেঁয়াজে লাভবান হওয়ায় এবার শীতকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁঁকেছেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাষিরা। ফলে চাহিদা বাড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫ কোটি টাকার শীতকালীন পেঁয়াজের চারা বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চারা ব্যবসায়ীরা।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ হয়েছে।
চৌগাছা শহরের ইছাপুর গ্রামের চাষি বিপস্নব ও বাবু হোসেন জানান, তারা প্রত্যেকে প্রায় এক বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন 'মুড়িকাটা' পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। একই জমিতে শীতকালীন পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছেন।
ওই দুই কৃষক আরও জানান, শীতকালীন এই পেঁয়াজের চারা রোপণে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার টাকা। পেঁয়াজ ওঠা পর্যন্ত আরও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। সব ঠিক থাকলে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মণ ফলন হবে বলে আশা করা যায়। যার বাজার মূল্য হবে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা। বাজারে বিক্রি করে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা মুনাফার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২৫৫ চাষিকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়। তাদের প্রত্যেককে এক কেজি করে নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও নগদ অর্থসহ অন্য সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, ৮০ হেক্টর জমিতে উপজেলায় শীতকালীন পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছে চাষিরা। কিন্তু চাষি ও চারা ব্যবসায়ীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হুসাইন বলেন, চৌগাছার মাটি পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য খুবই উপযুক্ত। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করায় তারা এখন বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।