টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রূপগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গৃহবধূ হাফসা আক্তার হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী। এদিকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার সিংলাবো এলাকায় গৃহবধূ হাফসা আক্তার কাকুলী হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। শুক্রবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মহাসড়কে উভয় পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা পরবর্তীতে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়ে মহাসড়কের অবরোধ তুলে নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, 'কাকুলী হত্যার ঘটনা আজকে ৯ দিন পার হয়ে গেছে। পুলিশ এখনো কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি আসামিদের দ্রম্নত গ্রেপ্তার করে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে আবারও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল জানান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদী হাসান রনির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেহেদী হাসান রনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য।
বুধবার রাতে মেহেদী হাসান রনির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রাতেই স্থানীয়রা ওই এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মেহেরুল হাসান সোহেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স, সাবেক ছাত্র নেতা লতিফুল ইসলাম নিপুল, সোহান খান, সৈকতুজ্জামান সৈকত, রাকিব হোসেন, সোহাগ, সাগর আহমেদ, শওকত উসমান, নাজমুল হাসান প্রমুখ। তারা এ হামলা-ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।