টানা কয়েকদিনের শীতের তীব্রতায় বেড়েছে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি কাশির রোগী। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন সরকারি হাসপাতালে। শীতজনিত রোগে দৈনিক কয়েকশ' রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের আউটডোরে। একইসঙ্গে ভর্তি হচ্ছেন অনেকে। যার মধ্যে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেশি।
বৃহস্পতিবার উপজেলা সরকারি হাসপাতালে সরেজমিন দেখা গেছে, নির্ধারিত বেড পেরিয়ে হাসপাতালের বারান্দায় ভর্তি রোগী। শিশুর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেশি। বুধবার ২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ১২ জনই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। পেট ব্যথায় রয়েছেন ৪ জন। অন্যদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি কাশিতে আক্রান্ত।
তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্ত শিশুর মধ্যে নিউমোনিয়া রোগীও আছে। তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীরা অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে বলেন, হাটহাজারীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী সবসময়ই থাকে। তবে শীত আসলেই ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। এর মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের আরও বেশি যত্নবান হতে হবে। শীতে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। শিশুর কাপড়-চোপড়, নখ এমনকি খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দুই-তিন দিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক মৃত শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। হাসপাতালে আনার আগেই শিশু মারা গেছে তা জানেন না শিশুটির বাবা-মা। এসব রোগের ক্ষেত্রে সচেতনতার বিকল্প নেই। ভর্তি রোগীর জন্য হাসপাতালে যথেষ্ট খাবার স্যালাইন ও ওষুধ রয়েছে বলে জানান তিনি।