বিরলে খননকৃত নদী-নালার পাড় কেটে বিক্রির মহোৎসব
প্রকাশ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার তুলাই নদী ও নদীর সঙ্গে সংযোগ হওয়া বিভিন্ন নালার খননকৃত পাড়ের মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। সরকারের গৃহীত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। সম্প্র্রতি বিরল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে নদীর পাড়ের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে। স্থানীয় প্রশাসন রয়েছে নীরব।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তুলাই নদী ও তুলাই নদীর সঙ্গে সংযোগ হওয়া বিভিন্ন নালা খনন করা হয়। তুলাই নদী ও নালার পাড় দেদার কেটে মাটি বিক্রির প্রতিযোগিতা শুরু করেছে একটি সিন্ডিকেট।
গত সোমবার বিকালে উপজেলার ৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের ফুলবাড়ী হাটের পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখা যায়, তুলাই নদীর পাড়ে ভেকু (এস্কভেটর) দিয়ে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। ১০ থেকে ১২ টি ট্রলিতে করে নদীর পাড় কেটে বিক্রি করছেন ওই এলাকার এক ব্যক্তি। ওই মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। এছাড়াও উপজেলার ৯নং মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খননকৃত সোনাই নালার দুই পাড়ের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভেকু দিয়ে পাড়ের মাটি কাটার অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই মাটি তারা বিভিন্ন ইটভাটা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন খাল ভরাট করছেন প্রতি ট্রলি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা হারে। প্রশাসন কর্তৃক অনুমতি আছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান বিআইডবিস্নউটিএ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই নদীর পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন। অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে তারা উল্টো ইউএনও এবং বিআইডাবিস্নউটিএ'র অফিসে খোঁজ নিতে বলেন।
তবে অনেক স্থানীয় ও এক মাটি বিক্রেতা স্বীকার করে বলেন, অবৈধভাবে পাড় কেটে এই মাটি কাটতে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী নিজেই বাধা দেওয়ার কারণে নিজেরা আর মাটি পাড় কাটা ও মাটি বিক্রি বন্ধ করেছেন।
বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে যোগাযোগ করলে এমন অবৈধভাবে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি মর্মে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা। পরে তিনি অবৈধভাবে পাড় কেটে মাটি বিক্রির বিষয়টি জানতে পারলে তা বন্ধ করে দেওয়ার কথাও জানান।
এ বিষয়ে বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বহ্নি শিখা আশা বলেন, তিনি মাটি কাটার বিষয় জানেন না। কোথায় কোন জায়গায় নদীর পাড় কাটা হচ্ছে তিনি দেখবেন।