মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, 'নির্বাচনের আগে জনগণের ভোট প্রার্থনা করার জন্য প্রতিটা গ্রামে ও পাড়া-মহলস্নায় ঘুরেছি। বিভিন্ন গ্রামে-মহলস্নায় জনসংযোগ, জনসভা করেছি। সেই সুবাধে সব ধরনের মানুষের সঙ্গে মিশে তাদের কথা শোনার সুযোগ হয়েছে। তাদের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ হচ্ছে মাদকের ব্যাপক বিস্তার। অনেকেই গোপনে, আবার অনেকেই সাহস করে প্রকাশ্যেই মাদক ব্যবসায়ীদের নাম বলেছেন। তাদের তথ্যে মনে হচ্ছে, গ্রামেই মাদকের বিস্তার বেশি। এ সমাজ, দেশ আমাদের সবার। কাজেই মাদক রোধ করে সবাই মিলে সমাজটাকে বাঁচাতে হবে।'
তাই সেগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এসব কথা বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাইজকীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- কালিয়াকৈর উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, কালিয়াকৈর পৌর মেয়র মজিবর রহমান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, কালিয়াকৈর থানার ওসি এ এফ এম নাসিম, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিকদার মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর আলী খান, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সরকার মোশারফ হোসেন জয়, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ হোসেন খোকন, কালিয়াকৈর মডেল প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইমারত হোসেনসহ আরও অনেকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক।
চাঁদাবাজির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহণে ব্যাপক চাঁদাবাজির খবর শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও মহাসড়কের ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচে হাটবাজার, হোটেল, দোকানপাট রয়েছে। আর এসবের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক স্বার্থবাদী লোক সুবিধা নিচ্ছে। এগুলো সেখানে থাকা উচিত নয়। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।