'মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দু হাত বেঁধে শিশু আয়েশাকে নির্যাতন করতেন সৎমা' হত্যার অভিযোগে কারাগারে পারভীন

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
স্বামীর আগের স্ত্রীর সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে চাননি সৎমা পারভীন সুলতানা। এ কারণে দু'বছরের শিশু আয়শাকে প্রতিনিয়ত মারপিট করতেন তিনি। শুধু তাই নয়, মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে ও দুই হাত বেঁধে দু'বছরের এই শিশুকে নির্যাতন চালাতেন পারভীন। আয়শাকে মারপিট ও নির্যাতনের ছবিও নিজের মোবাইল ফোনে ধারণ করে রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ধারণ করা সেই ছবিতেই পুলিশের জালে আটকা পড়েছেন পারভীন। এই ঘটনায় মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানার এসআই জয়ন্ত সরকার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় পারভীনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এর আগে, সোমবার বিকেলে শহরের খড়কি ধোপাপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে পারভীনকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, আট থেকে ১০ বছর আগে ওয়াসকুরনি পিন্টুর সঙ্গে নিহত আয়েশার আপন মা জান্নাতুলের বিয়ে হয়। ২০১৮ সালে পারভীনকে বিয়ে করেন পিন্টু। গত পাঁচ মাস আগে পিন্টুর আগের স্ত্রী জান্নাতুল তাদের দু' সন্তান আয়শা ও তার বড় ভাইকে বাবা পিন্টুর কাছে রেখে যান। তখন থেকে পারভীন সতীনের সন্তানদের উপর অত্যাচার শুরু করেন। সর্বশেষ, গত ১৩ জানুয়ারি শনিবার সকালে বাড়ি থেকে পিন্টু বের হয়ে গেলে ছেলেকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে দেন পারভীন। পরে শিশু আয়শাকে বেঁধে ঝাড়ু দিয়ে মারপিট করেন। শিশুটির শরীর থেকে খামচি দিয়ে মাংস তুলে ফেলেন। শিশু আয়েশার চুল ধরে পাশের একটি দেয়ালের সঙ্গে ঘষা দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত করেন। একপর্যায়ে শিশু আয়েশা অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এরপর তড়িঘড়ি করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান পারভীন। হাসপাতালের চিকিৎসক আয়েশাকে মৃত ঘোষণা করেন। কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেন্স) পলাশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে শিশু আয়শাকে হত্যার বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। নিহত আয়শার পিতা গা-ঢাকা দেয়ায় পুলিশই শেষ পর্যন্ত বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।