ফেনীতে গত এক বছরে ৮৩ জনের আত্মহত্যা

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী জেলায় গত এক বছরে হত্যার চেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২০২৩ সালে ফেনীতে ৮৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। আর খুন হয়েছেন ২১ জন। বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় গত এক বছরে ১ হাজার ৬৫১ টি মামলা হয়েছে। ফেনী জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অপরাধ শাখার তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে ফেনীতে ৩৭ জন পুরুষ ও ৪৬ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৫ বছর। আত্মহত্যকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, এক থেকে ১৪ বছরের ৭জন, ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সের ৩২ জন, ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সের ২৬ জন, ৪০ থেকে ৫৯ বয়সের ৮ জন, ৬০ থেকে ৬৪ বছর বয়সের ৭ জন ও ৬৪ বছরের উপরে একজন রয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত বছরের ফেনীতে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে একটি, দসু্যতা ২৩টি, খুন ২১টি, চুরি ১২১ টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৪৭ টি, অস্ত্র উদ্ধার ১২ টি, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ৫৫৩ টি, চোরাচালান উদ্ধার ৩৩ টি ও সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ফেনী জেলার ছয়টি থানায় ১ হাজার ৬৫১ টি মামলা হয়েছে। ফেনী জেলায় আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে জানা হয়, পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনে অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয়, মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, ফেনীর অসংখ্য মানুষ প্রবাসী। কিছু প্রবাসী একসময় পারিবারিক কলহে লিপ্ত হয়। অশান্তি চরমে পৌঁছালে, একসময় আত্মহননের পথও বেছে নেয় অনেকে। আত্মহত্যা একটি অপরাধ। আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে সরাসরি পুলিশ কিংবা ৯৯৯-নম্বরে ফোন করে যে কেউ সহযোগিতা পেতে পারে। সুশীল সমাজের ধারনা, আত্মহত্যা বৃদ্ধি পায়, দারিদ্রতা, মাদক সেবন, বেকারত্ব ও সামাজিক নানা অস্থিরতা থেকে। ঈদানিং বয়সন্ধিকালেও আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। আত্মহত্যার প্রবণতা কমানোর প্রধান উপায় হচ্ছে পারিবারিক সচেতনতা। এছাড়া যার মধ্যে এমন অস্থিরতা দেখা যাবে তাকে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।