সার-কীটনাশকে ভেজাল রোধে বাজার তদারকির দাবি

লাখাইয়ে ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের লাখাইর হাওড় জুড়ে ইরি- বোরো ধানের চারা রোপণের ধুম পড়েছে। আমনের ধানের সফল উত্তোলন শেষে কৃষকরা বিস্তীর্ণ হাওড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে সারা বছরের খাদ্যঘটতি পূরণের অন্যতম সহায়ক ইরি-বোরো ধানের কচি চারা রোপণে। হাওড়ে বর্ষার পানি নেমে যাওয়ায় তীব্র হিমেল হাওয়া আর শিশির ভেজা ঘনকুয়াশা মাড়িয়ে ইরি-বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে উপজেলার ৬ ইউনিয়নের কৃষক চারা রোপণের উপযোগী করতে জমির পরিচর্চা আর চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা জুড়ে এ বছর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ২০৮ হেক্টর, বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬০ হেক্টর। আবাদকৃত বোরো ধানের উলেস্নখযোগ্য জাতসমূহের মধ্যে ব্রি ধান ৮৮, ৮৯, ৯২, ৯৬, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, বিনা-২৪, ২৫ এছাড়াও হাইব্রিড ধানের মধ্যে হীরা, এসএল-৮, সুরভী-০১। তবে বস্নাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকায় এ বছর ব্রি-ধান ২৮-২৯ জাতের ধান চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। উলিস্নখিত দুটি জাতের পরিবর্তে বিকল্প জাত হিসেবে ব্রিধান ৮৮, ৮৯, ৯২ ও বিনা-২৫ আবাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান মিজান বলেন, ইরি-বোরো আবাদে করণীয় সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস। বিশেষ করে বীজ বপনের পূর্বে বীজ শোধন, আদর্শ বীজতলা, লাইনে চারা রোপণ, ১০ লাইন পরপর এক লাইন ফাঁকা রাখা ও পার্চিং সম্পর্কে। এদিকে এলাকার ইরি-বোরোচাষিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, ইতোমধ্যে বীজতলা থেকে ইরি-বোরো চারা তুলে জমিকে মাড়িয়ে চারা রোপণ করে যাচ্ছেন তারা। এ সময় কাঙ্ক্ষিত ও বাম্পার ফলনকে তরান্বিত করতে ভেজাল সার ও কীটনাশক বাজারে সয়লাব রোধে সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত সার ও কীটনাশকের দোকান তদারকির দাবি জানান কৃষকরা।