লামায় পাহাড়ে ঠান্ডা আলুর বাম্পার ফলন

প্রকাশ | ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানে লামা উপজেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে খুব পরিচিত ফল ঠান্ডা আলু। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ মৌসুমে এর বাম্পার ফলন হয়েছে। সমতলে একে কেশর আলুও বলা হয়। ইংরেজিতে এর নাম ম্যাক্সিকান টার্নিপ। বান্দরবানে মারমা ভাষায় একে বলা হয় চিংজা ম্রাওউ। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রমতে, এ বছরে লামা উপজেলায় প্রায় ১০-১১ হেক্টর পাহাড়ের ঢালু জমিতে এই ঠান্ডা আলু আবাদ হয়েছে। জানা যায়, ঠান্ডা আলু লামা উপজেলায় বেশিরভাগ গজালিয়া ইউনিয়নের বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হয়েছে। ঠান্ডা আলুর বিশেষত্ব হচ্ছে, এটা কাঁচা খাওয়া যায় এবং খুব স্বাদের। বেশ ঠান্ডা। চামড়া বা বাকল ছিলে কাঁচা খাওয়া হয়। এই আলু উপজেলায় ক্রেতাদের চাহিদা মিটিয়ে চকরিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে। গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা মেম্বার ও গাইন্দ্যা পাড়া ঠান্ডা আলু নারী চাষি হাইং চনুং মার্মা জানান, প্রতি বছর ঠান্ডা আলু চাষ করে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আগে জুমের ধান ও অন্যান্য সবজি চাষ করতেন। এখন বাণিজ্যিকভাবে এই ঠান্ডা আলু চাষ করা হয় এবং দেখাদেখি করে অনেক চাষি বর্তমানে বেড়েছে। শনিবার হাটবাজার দিন সারি সারিভাবে ঠান্ডা আলু বিক্রির জন্য বাজারে নেমেছে চাষিরা। বাজারে এক গোছা ঠান্ডা আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. মুঈনুদ্দিন মোর্শেদ জানান, আঁশযুক্ত এই আলু ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুব উপকারী। এবং এতে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস থাকে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ঠান্ডা আলুর মৌসুম সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। পাহাড়ি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকেরা জুমে এই আলু চাষ করে থাকেন। জুমে ধান চাষের পাশাপাশি আলুর বীজ বপন করা হয়। ধান উঠে গেলে আলুর গাছগুলো বাড়তে থাকে। আলু বড় হলে মাটি ফাটতে শুরু করে। এসময় আলুগুলো সংগ্রহ করা হয়।