গাজীপুর মহানগর বাসন থানার চান্দনায় সাত বছরের অবুঝ শিশু মারিয়া আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। ভিকটিমের বাবার সঙ্গে পূর্বশত্রম্নতার জেরে শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে তেলিপাড়া হযরত আলী ড্রাইভারের পতিত জমির ঝোপঝাড়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। লাশ গুম করতে ঝোপঝাড়ের ভেতর গাছের লতা-পাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারী।
সোমবার মধ্যরাতে চান্দনা বৌ-বাজার আব্দুল হালিমের ভাড়া বাসা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করেন বাসান থানা পুলিশ। আসামি মো. জুয়েল (৩৯) বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামের মো. আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি বর্তমানে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকায় বসবাস করেন। জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, শিশু মারিয়া শেরপুর জেলার সদর থানার মনজুরুল ইসলামের মেয়ে। বাবা-মাসহ বাসান থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকত। শিশু মারিয়া গত রোববার বিকালে বাসার উঠানে যায়। সন্ধ্যা পার হওয়ার পরও বাসায় না ফেরায় বাবা-মা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে গত সোমবার রাতে তারা সংবাদ পেয়ে বাসান থানাধীন তেলিপাড়ায় গিয়ে মৃত হযরত আলী ড্রাইভারের জমির ঝোপঝাড়ের ভেতর শিশু মারিয়ার লাশ শনাক্ত করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মো. জুয়েল জানান, নিহত শিশুর বাবা মনজুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার নেন, যা পরে পরিশোধ করার পরও তাকে মারধর করেন মারিয়ার বাবা মনজুরুল। সেই মারধরের প্রতিশোধ নিতেই শিশু মারিয়াকে তিনি হত্যা করেন।